বিশ্বের সবচেয়ে বড় কনটেইনার জাহাজ এটি। ৪টি ফুটবল মাঠের সমান এর আয়তন। মাপের হিসেবে ৪০০ মিটার লম্বা এবং ৫৪ মিটার চওড়া। একবারে বহন করতে পারে দানা ভর্তি ৯০ কোটি টিন। কনটেইনার ধারণ করতে পারে ১৯ হাজার ১০০টি। কনটেইনার গুলো যদি একটির সাথে একটি লম্বা করে সাজানা হয় তাহলে ৭২ মাইল লম্বা হবে। আর একটির ওপর একটি রেখে সাজালে ৫টি হিমালয় পর্বতের উচ্চতার সমান উচু হবে। জাহাজের কনটেইনারে ৫৭ হাজার টন মালামাল নিয়ে জাহাজটি গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের ফেলিক্সটাউ বন্দরে পৌঁছেছে।
জাহাজটির গায়ে বিশাল অক্ষরে লেখা চায়না শিপিং লাইনস। সগৌরবে ঘোষণা করছে তার দেশের নাম। যেসব মালামাল নিয়ে জাহাজটি লন্ডনে পৌঁছে তার মধ্যে রয়েছে খাদ্য, পানীয় এবং পোশাক। ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ২০১৬ পর্যন্ত জাহাজটি যুক্তরাজ্যে অবস্থানের পর আবার মালামাল বোঝাই করে রটারডাম, হামবার্গ এবং বেলজিয়ামের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়ার কথা রয়েছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে জাহাজটি সাংহাই থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এ জাহাজটি লন্ডন বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে এক ধরনের আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এরপর আবার দূরপ্রাচ্যে যাত্রা করে। বন্দর থেকে পল ডেভি জানান, এটি খুবই চমৎকার একটি দিন। আমরা গর্বিত। বন্দরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চেং জানান, ইউরোপ-এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে এ জাহাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ মালবাহী জাহাজটির রেজিস্ট্রি স্থান হিসেবে লেখা রয়েছে সিএসসিএল গ্লোব, হংকং নামে। বোঝা যাচ্ছে জাহাটি সেখানেই নির্মিত হয়েছে। চায়না শিপিং লাইনস কো. লি. এবং দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই হেভি ই›ন্ডাস্ট্রিজ এটি নির্মাণ করেছে। নির্বাহী লন্ডনের ডেইলি মেইল এ নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।