আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিতে শুক্রবার নিরাপত্তা ইস্যুতে চতুর্থ বার্ষিক আমেরিকা-বাংলাদেশ যৌথ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপাক্ষিক ও কনস্যুলার) মিজানুর রহমান ও আমেরিকার রাজনৈতিক-সামরিক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি টড চ্যাপম্যান এ সংলাপে সভাপতিত্ব করেন।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেন তারা। সংলাপে একে একে উঠে আসে কৌশলগত অগ্রাধিকার ইস্যু, আঞ্চলিক সহযোগিতা, দেশ দুটির মধ্যে সামরিক সহযোগিতা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাইবার নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াই, মানবিক সহায়তা, জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা, সমুদ্র ও সীমান্ত নিরাপত্তা কার্যক্রমসহ গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়।
এ সংলাপের ফলে আমেরিকা ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত আরো দৃঢ় ও স্থায়ী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন উভয় রাষ্ট্রের প্রতিনিধিগণ। শুক্রবার একটি মিডিয়া নোটে বিষয়টি নিশ্চিত করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কার্যালয় থেকে দেয়া বিজ্ঞপ্তিটি এখানে তুলে ধরা হলো:
১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার রাজনৈতিক-সামরিক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি টড চ্যাপম্যান ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপাক্ষিক ও কনস্যুলার) মিজানুর রহমান ওয়াশিংটন ডিসিতে নিরাপত্তা ইস্যুতে চতুর্থ বার্ষিক যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সংলাপে সভাপতিত্ব করেন। সংলাপটি বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ও অঞ্চলটিতে শান্তি ও সমৃদ্ধি ইস্যুতে আমাদের পারস্পরিক প্রতিশ্রুতির বিষয়টি প্রতিফলিত করে।
আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয় স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে কৌশলগত অগ্রাধিকার ইস্যু ও আঞ্চলিক সমস্যাসমূহ, নিরাপত্তা সহযোগিতা, সাইবার নিরাপত্তা, শান্তিরক্ষা, উভয় রাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত।
সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সমুদ্র ও সীমান্ত নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা করেন।