ব্রেইভিক স্টাইলে আরো হামলার আশঙ্কা নরওয়ে গোয়েন্দা সংস্থার

ব্রেইভিক স্টাইলে আরো হামলার আশঙ্কা নরওয়ে গোয়েন্দা সংস্থার

নরওয়েতে ভবিষ্যতে ব্রেইভিক স্টাইলে আরো হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা পিএসটি। বেইভিকের হামলা পরিকল্পনার আগাম ক্লু উদঘাটনের কোনো উপায় ছিল না বলেও স্বীকার করেছে তারা।

গত বৃহস্পতিবার পিএসটি আয়োজিত ২০১১ সালের ২২ জুলাইয়ের সন্ত্রাসী হামলার মূল্যায়ন অনুষ্ঠানে সংস্থাটির প্রধান রজার ব্রেগ এই সতর্কবাণী দেন।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ব্রেইভিকের মতো অন্য কেউ নরওয়েতে সফলভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পারে।

ওই মূল্যায়ন সভাতেই নরওয়ে পুলিশ প্রথম স্বীকার করে, ২২ জুলাইয়ে উটোয়া দ্বীপে ব্রেইভিকের সন্ত্রাসী হামলার পর তারা আরো দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারত। সেদিন জনতাকে লক্ষ্য করে ব্রেইভিক গুলি করা শুরুর এক ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

শান্তির দেশ নরওয়েতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পর সবচে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞটি সংঘটিত হয় গত বছরের ২২ জুলাই। এন্ডারস বেরিং ব্রেইভিক নামে এক যুবক রাজধানী ওসলোতে প্রধানমন্ত্রী ভবনের কাছে বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। এর পরই তিনি উটোয়া দ্বীপে আয়োজিত ক্ষমতাসীন দলের যুবসম্মেলনে আগত জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালান।

এ হামলায় ৭৭ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়, আহত হয় ২৪২ জন।

ব্রেইভিকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ আনা হয়। তবে তার আইনজীবীদের দাবি, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে জেলে না দিয়ে যথোপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া উচিৎ।

আটকের পর ব্রেইভিক আদালতে দায় স্বীকার করলেও দোষ স্বীকার করেননি। তিনি সঠিক কাজ করেছেন বলেই দাবি করেন। নিজেকে ‘পশ্চিম ইউরোপে ইসলামিকরণের’ বিরুদ্ধে এক সাহসী সৈনিক বলে উল্লেখ করেন ব্রেইভিক।

পরে জানা গেছে, ব্রেইভিক নরওয়েতে কট্টর ডানপন্থী খ্রিস্টান ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলতেন।

আন্তর্জাতিক