ব্রিটেনের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নতুন নেতা নির্বাচিত হয়েছেন কট্টর বামপন্থী বলে পরিচিত জেরেমি করবিন। যে রকম বিপুল ভোটে তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পরাজিত করেন তা ব্রিটেনের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বিস্মিত করেছে। জেরেমি করবিন ৮ বার এমপি নির্বাচিত হলেও তিনি লেবার পার্টির সম্মুখ সারিতে কখনোই ছিলেন না। তার কট্টর বামপন্থী অবস্থানের কারণে বরাবরই তিনি লেবার পার্টির ক্ষমতা কাঠামোর বাইরে ছিলেন। তিনি যখন লেবার পার্টির নেতা হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দাঁড়ান, তখন প্রয়োজনীয় সংখ্যাক এমপির সমর্থন পেতেও তাকে হিমসিম পেতে হয়। কিন্তু নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর পরই তার পক্ষে বিপুল সমর্থন দেখা যায়। প্রতিটি জরিপেই এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছিল যে, তিনিই নির্বাচনে জয়ী হতে চলেছেন।
জেরেমি করবিন ব্রিটেনের বর্তমান ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি যে ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করেছে, তার কট্টর বিরোধী। তিনি ব্রিটেনের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচী ‘ট্রাইডেন্ট’ বিলোপের পক্ষে। ক্ষমতায় গেলে তিনি ব্রিটেনের রেল নেটওয়ার্ক জাতীয়করণের অঙ্গীকার করেছেন। সামনের সপ্তাহে ব্রিটেনে ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ক্ষমতা খর্ব করে যে নতুন বিল পার্লামেন্টে আসছে, তিনি সেটিরও তীব্র বিরোধিতা করছেন।
জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে লেবার পার্টি তার গত প্রায় ২ দশকের মধ্যপন্থী নীতি থেকে অনেক বেশি বামপন্থার দিকে ঝুঁকবে বলে মনে করা হচ্ছে। কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, এর ফলে লেবার পার্টিতে দ্বন্দ্ব এবং অনৈক্য দেখা দিতে পারে। -বিবিসি