পশ্চিমাঞ্চল রেলের ৬১ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয়

পশ্চিমাঞ্চল রেলের ৬১ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয়

প্রতিবছর শুধু লোকসানের বোঝা ছিল বাংলাদেশের রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগে। কিন্তু sadausdjoasdএবার সেই লোকসানের বোঝা হটিয়ে চলতি অর্থ বছরে যাত্রী, পার্সেল ও মালামাল বহণ করে প্রায় ৬১ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় করেছে। যা গত বিশ বছরের আয়ের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। রেলওয়ে পাকশী বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রের দেওয়া তথ্যে মতে এসব জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে যাত্রী বহন করে ১৩৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, পার্সেল বহনে ৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা , মালামাল বহনে ৪৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা ও বিবিধ খাতে ৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা মিলে মোট ১৯১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা আয় করা হয়। এছাড়া ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে যাত্রী বহন করে ১৪৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, পার্সেল বহনে ৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, মালামাল বহন করে ৯৩ কোটি ১০ লাখ টাকা ও বিবিধ খাতে ৪ কোটি ৭ লাখ টাকা মিলে মোট ২৫২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আয় করা করেছে। যা গত অর্থ বছরের তুলনায় প্রায় ৬১ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় করেছে।
সূত্র মতে এই আয় গত বিশ বছরের আয়ের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। পাকশী বিভাগের ব্যবস্থাপক আফজাল হোসেন জানান, স্টেশন বন্ধ থাকা, ঢাকামুখি ট্রেনে বেশি কোচ সংযোজন করতে না পারা, চালক (এলএম) ও গার্ড সংকট থাকার পরও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালনের কারণে চলতি অর্থ বছরে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে এ অতিরিক্ত আয় করা সম্ভব হয়েছে। প্রয়োজণীয় সংখ্যক স্টেশন চালু, ঢাকামুখি ট্রেনে কোচ সংযোজন, চালক (এলএম) ও গার্ড সংকট না থাকলে আরও বেশি আয় করা সম্ভব হতো। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল আলম জানান বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলওয়েকে ঢেলে সাজাতে বদ্ধ পরিকরন। প্রধান মন্ত্রী ও রেল মন্ত্রনালয়ের সঠিক নির্দেশনায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সকল বিভাগে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছেন। লোকবল, কোচ, এলএম ও গার্ড স্বল্পতা কাটিয়ে উঠা এবং বন্ধ স্টেশনগুলো চালুর জোড় চেষ্টা চলছে। আশা করা যায় স্বল্প সময়ের মধ্যেই এসব সমস্যা সমাধান হলে ট্রেন মুখি যাত্রীদের সুবিধা ও রেলের আয় আরও বৃদ্ধি পাবে।

Featured অর্থ বাণিজ্য