বাংলাদেশের পুলিশ বলছে, গত মাসে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এক মন্দিরে বোমা হামলার প্রধান হোতা বলে যাকে থাই পুলিশ যাকে সন্দেহ করছে সে ঘটনার পর ঢাকায় এসেছিল।
জানা গেছে, ওই ব্যাক্তি চীনা পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছিল, তারপর রাজধানী ঢাকায় কিছুদিন থাকার পর সে চলে গেছে।
বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক নজরুল ইসলাম বিবিসিকে এ খবরটি নিশ্চিত করেছেন। মি ইসলাম জানান থাইল্যান্ড পুলিশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে খোঁজখবর নিয়ে তারা বিষয়টি জানতে পারেন।
থাইল্যান্ড পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকেই বিষয়টি বাংলাদেশকে জানানো হয়। তার পরেই বাংলাদেশের পুলিশ কর্তৃপক্ষ খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন খবরটি সঠিক।
আবদুর রহমান আবদুস সাত্তার ওরফে একেএ আইজান নামে ওই চীনা পাসপোর্টধারী ব্যক্তি গত ১৬ আগস্ট বাংলাদেশ বিমানে চেপে ব্যাংকক থেকে ঢাকায় আসেন।
বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগ পুলিশকে এটাও নিশ্চিত করেছে যে ৩০ আগস্ট জেট এয়ারওয়েজের একটি বিমানে চেপে তিনি ঢাকা ছেড়ে চীনের পথে রওনা হয়ে গেছেন।
নজরুল ইসলাম বিবিসিকে বলেছেন, এই যে দুসপ্তাহের মতো আইজান বাংলাদেশে ছিলেন এর মধ্যে তিনি কোথায় কোথায় গেছেন, কার সঙ্গে দেখা করেছেন বা বাংলাদেশে তার কোনও ঘাঁটি আছে কি না সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত ১৭ অগস্ট ব্যাংককের একটি ধর্মীয় স্থাপনায় যে বোমা হামলা চালানো হয়, সে ঘটনাটিকে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য ধরনের হামলা বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান ওচা।
ওই হামলায় বিদেশী পর্যটকসহ অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেনন আরও অনেকেই।
১৭ আগস্ট সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটার দিকে ইরাওয়ান শ্রাইন নামে খুব পরিচিত একটি ধর্মীয় স্থাপনায় ওই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।
এর পরপরই রাস্তায় মানুষের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়।ঘটনাস্থলের আশপাশে ব্যাপক আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
ব্যাংকক খুব জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র। প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকেরা আসেন, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশ থেকে।
ইরাওয়ান শ্রাইন স্থাপনার মূল আকর্ষণ চারদিকে মুখ খচিত সোনালী রঙের একটি মূর্তি, যেটি হিন্দু ধর্মের ব্রহ্মার একটি রূপ। তবে বৌদ্ধ ধর্মের বহু অনুসারীও প্রতিবছর এখানে প্রার্থনা করতে আসেন।
সূত্র: বিবিসি বাংলা।