যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সকল আলোচনা স্থগিত করেছে তালেবান

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সকল আলোচনা স্থগিত করেছে তালেবান

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান সকল আলোচনা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে আফগানিস্তানের তালেবান কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাবাহিনী ও আফগানিস্তানের সাবেক শাসক তালেবানদের মধ্যে দশকব্যাপী চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাত অবসানের জন্য সম্প্রতি কাতারের মধ্যস্থতায় এই আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তালেবান কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘ইসলামিক আমিরাত’ বৃহস্পতিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান সকল আলোচনা হতে নিজেদের প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিচ্ছে। যতক্ষণ যুক্তরাষ্ট্র শুধু সময়ক্ষেপণ বাদ দিয়ে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ না করবে এবং সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে তাদের অবস্থান পরিষ্কার না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তালেবানরা কোনো ধরনের আলোচনায় অংশ নেবে না।

বিবৃতিতে এই পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে বলা হয় তারা ক্রমাগত নিত্যনতুন অজুহাতে আলোচনার শর্ত পরিবর্তন করছে। সাম্প্রতিক বৈঠকে তারা নতুন শর্তের তালিকা সংযোজন করে যা পূর্বে অনুমোদিত আয়োজনকে বাধাগ্রস্ত করে।

এর আগে বৃহস্পতিবার আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইও আফগানিস্তানের গ্রামীণ এলাকা থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানান। কারজাইয়ের এই ঘোষণা দেশটিতে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতির বিরুদ্ধে আরেকটি চপেটাঘাত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কারজাই এ সময় দাবি করেন যে, ২০১৩ সালের মধ্যে আফগানিস্তানের নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব আফগানদের হাতে অর্পণ করার লক্ষ্যেই উভয়পক্ষকে কাজ করে যাওয়া উচিত। সেনা প্রত্যাহার যেন ২০১৪ পর্যন্ত না পেছায় সে ব্যাপারেও সর্তক করে দেন তিনি।

বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তালেবানদের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরুর পূর্বশর্ত ছিল গুয়ানতানামো বন্দি শিবির থেকে আটক তাদের ৫ শীর্ষ নেতার মুক্তি।

এর আগে তালেবানরা গত জানুয়ারিতে কাতারে তাদের রাজনৈতিক কার্যালয় খোলার ঘোষণা দিয়েছিল। এই উদ্যোগকে ১০ বছরের দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ অবসানে তালেবানদের পক্ষে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন বিশ্লেষকরা।

হামিদ কারজাই তালেবানদের এই পদক্ষেপকে সুনজরে না দেখলেও পরবর্তীতে একে সমর্থন করতে বাধ্য হন।

আন্তর্জাতিক