বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তৈরি করা আত্মহত্যাপ্রবণ রাষ্ট্রগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ দশম স্থানে রয়েছে। প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ৮ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে বাংলাদেশে।
গত সোমবার ডব্লিউএইচওর এক কর্মকর্তা এক সংবাদ সম্মেলনে উদ্বেগজনক এ তথ্য দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।
বাংলাদেশে প্রতিদিন আত্মহত্যার সংখ্যা ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে। ভয়াবহ এ প্রবণতা থেকে মানুষকে সরিয়ে আনতে আত্মহত্যাবিরোধী নানা প্রচারণা চালানোর বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আত্মহত্যাবিরোধী প্রচারণাবিষয়ক ফোরাম ‘ব্রাইটার বাংলাদেশ’-এর আহ্বায়ক জয়শ্রী জামান বলছিলেন, আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়াদের অধিকাংশের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। পারিবারিক বা সামাজিক নানা কারণে প্রচণ্ড আবেগতাড়িত হয়ে তারা আত্মহত্যা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জয়শ্রী জামান বলেন, আত্মহত্যা অনেকের কাছে তাদের সাময়িক সমস্যার স্থায়ী সমাধান বলে মনে হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, যারা আত্মহত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের বেশির ভাগই আজ সুখী। কারণ, তারা এখনো পৃথিবীর বুকে বসবাস করছেন।
জয়শ্রী পেশায় সাংবাদিক। গত বছরের সেপ্টেম্বরে উত্তরায় তার টিনএজ দুই সন্তান একসঙ্গে আত্মহত্যা করার পর শোকে মুষড়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে তিনি আত্মহত্যা রোধে প্রচারণায় নামেন এবং ব্রাইটার বাংলাদেশ ফোরামের যাত্রা শুরু হয়। ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা দিবস পালিত হবে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।