বলিভিয়াকে ৭-০ গোলে হারিয়ে হাওয়ায় উড়ছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু মেক্সিকোর বিপক্ষে যেন মাটিতেই পা রাখতে হলো তাদের। যুক্তরাষ্ট্রের অর্লিংটনে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মেসি- আগুয়েরোর ২ গোলে হারের হাত থেকে বেঁচে ড্র করেছে বিশ্বকাপ রানার্সআপরা।
টেক্সাসের কাউবয়েজ স্টেডিয়ামে (বর্তমানে এটিঅ্যান্ডটি) শুরুটা ভালো হয়নি আলবিসিলেস্তাদের। ম্যাচের প্রথমার্ধে তারা ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকে। ৭০ মিনিটের মাথায় পিছিয়ে পরে ২-০ গোলে। তবে শেষ ৫ মিনিটে মেসি ম্যাজিক দেখে ফুটবল বিশ্ব। ৮৫ থেকে ৮৯ মিনিট। এই সময়ের মধ্যে দুটি গোল শোধ দেয় আর্জেন্টিনা। একটি করেন সার্জিও আগুয়েরো। অন্যটি করেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। শেষ পর্যন্ত মেসির গোলে ভর করে ২-২ গোলের সমতা নিয়েই শেষ হয় ম্যাচ।
ম্যাচের ১৯ মিনিটে পেনাল্টি এরিয়ার মধ্যে ফাউল করেন আর্জেন্টিনার নিকোলাস ওটামেন্ডি। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে ভুল করেননি রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মেক্সিকো। প্রথমার্ধে বলের দখল , আক্রমণ, পাল্টা-আক্রমণ ও গোলে শট নেওয়ার দিক থেকে বেশ এগিয়ে থাকে আর্জেন্টিনা। তৈরি করে দারুণ কিছু সুযোগ। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে না পারায় ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৭০ মিনিটে আরো একটি গোল হজম করে বসে আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। ২-০ গোলে পিছিয়ে পরে টাটা মার্টিনোর কপালের ভাজ আরো পুরু হয়। এবার মেক্সিকোর হয়ে গোল করেন হেক্টর হেরেরা। তাকে গোলে সহায়তা করেন মিগুয়েল লায়ান। ডান প্রান্ত থেকে আক্রমণ করে ডি বক্সের মধ্যে হেক্টরকে বল বাড়িয়ে দেন মিগুয়েল। ঠাণ্ডা মাথায় তিনি বল জালে জড়ান।
৮৩ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকে আর্জেন্টিনা। এরপরের গল্পটুকু শুধুই আর্জেন্টিনার। ৮৫ মিনিটে বল নিয়ে ডি বক্সের ডিকে দৌঁড়ে যান লাভেজ্জি। তাকে রুখতে গোলপোস্ট ছেড়ে আসেন মেক্সিকোর গোলরক্ষক। সুযোগ বুঝে লাভেজ্জি বল বাড়িয়ে দেন আগুয়েরোর দিকে। আগুয়েরো ফাঁকা পোস্টে বল পাঠাতে ভুল করেননি (২-১)। ৮৯ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে মেসিকে বল বাড়িয়ে দেন আগুয়েরো। উড়ে আসা বল বুক চিতিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাম পায়ের শটে জালে জড়ান ২-২)। শেষ পর্যন্ত তার গোলটিই হারের লজ্জা থেকে রক্ষা করে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে।