গত কিছুদিন ধরে শরণার্থীর স্রোত এখনো অব্যাহত রয়েছে ইউরোপজুড়ে। রেকর্ড সংখ্যক শরণার্থীর ঠাঁই হয়েছে জার্মানিতে। মূলত সিরিয়া ও লিবিয়া থেকে এসেছেন এসব শরণার্থীরা যাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেবার বন্দোবস্ত করতে যাচ্ছে দেশটি। কিন্তু এরই মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, শরণার্থীদের এই মিছিলে প্রচুর বাংলাদেশীও রয়েছে।
যুদ্ধপীড়িত হবার কারণে সিরিয়া ও লিবিয়া থেকে আসা শরণার্থীদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেবার কথা বলছে জার্মানি। কিন্তু বাংলাদেশ কোনও যুদ্ধপীড়িত রাষ্ট্র নয়। ধারণা করা হচ্ছে মূলত উন্নত জীবনের আশায় লিবিয়ায় হয়ে এই সব বাংলাদেশী ইউরোপে প্রবেশ করেছে।
শরণার্থীদের মিছিলে যে সমস্ত বাংলাদেশী রয়েছে, সেখানে এদের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশী লেখিকা ও সাংবাদিক নাজমুন্নেসা পিয়ারী বলছেন, শরণার্থী আইনের আওতায় যারা জার্মানিতে আসে, তাদের দেশটি আশ্রয় দিয়ে থাকে।
তিনি বলছেন, জার্মানিতে অনেক কাজ রয়েছে, যা স্থানীয়রা করতে চাননা। সেসব ছোটখাটো কাজগুলো শরণার্থীরা কাজ করে থাকেন।
নাজমুন্নেসা পিয়ারী বলছিলেন, যারা শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়ের আবেদন করবেন, তাদের বিষয়ে শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা এখানে বসবাস করতে পারেন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় তিনি দেখেছেন, এভাবে অনেকেই পরে দীর্ঘদিন ধরে জার্মানিতে বসবাস করছেন।
তিনি বলছেন, অনেকেই এর আগে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে শরণার্থী হিসাবে আবেদন করে জার্মানিতে আশ্রয় পেয়েছেন। এখন যারা আসছে, তারাও একই ভাবে আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু বাংলাদেশে যেহেতু সিরিয়া বা লিবিয়ার মতো রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই, তাই তাদের আবেদনের বিষয়েও শুনানি হবে। তবে তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে, তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হতে পারে বলে তিনি জানান। সূত্র : বিবিসি বাংলা