খ্যাতিমান শিল্পী, সুরকার ও সংগীত পরিচালক লাকী আখন্দের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুতই ব্যাংককে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন লাকী আখন্দের কন্যা মাম মিনতী। প্রবল শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় চলতি মাসের ১ তারিখ তাকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি এ হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি আছেন। এখানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ওসমান ও ডা. মেহশাকের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। লাকী আখন্দের ফুসফুসে পানি জমেছে। এছাড়াও আরও বেশকিছু সমস্যা রয়েছে তার। এ কারণে চিকিৎসকরা তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এ বিষয়ে মাম মিনতী আরও বলেন, আমি যখন ছোট তখন থেকেই বাবার শ্বাসকষ্টের বিষয়টি দেখেছি। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটা আরও তীব্র হয়েছে। খুব শিগগিরই ব্যাংককে নিয়ে যেতে হবে। সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। লাকী আখন্দ সংগীত জীবনে অসংখ্য কালজয়ী গান সুর করেছেন ও গেয়েছেন। এ তালিকায় উল্লেখযোগ্য গান হচ্ছে- হ্যাপী আখন্দের ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, ‘কে বাঁশি বাজায়রে’, কুমার বিশ্বজিতের ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, সামিনা চৌধুরীর ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ফেরদৌস ওয়াহিদের ‘মামনিয়া’, নিজের গাওয়া ‘এই নীল মণিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘আগে যদি জানতাম’।
অকাল প্রয়াত বিখ্যাত শিল্পী হ্যাপি আখন্দ তার ছোট ভাই। ১৯৮৭ সালে হ্যাপী আখন্দের মত্যুর পরপর সংগীতাঙ্গন থেকে তিনি অবসর নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিনের বিরতি শেষে সমপ্রতি আবারও ফিরে এসে দুই বাংলাকে এক সুরে বেঁধে অ্যালবামের কাজ করছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে লাকি আখন্দের প্রথম একক অ্যালবাম ‘লাকী আখন্দ’ বের হয়। গান করার পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ বেতারে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।