কল ড্রপের জন্য ইতিমধ্যেই গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রস্তাব করেছে ট্রাই৷ এবার আরও একধাপ এগিয়ে টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্কের গুণমান পরীক্ষা করতে নিয়মিত নজরদারি চালানোর পরিকল্পনাও করেছে৷ এ ব্যাপারে ট্রাই শীঘ্র একটি নির্দেশিকা জারি করবে বলে জানা গিয়েছে৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাই-এর এই সিদ্ধান্তে গ্রাহক স্বার্থ রক্ষিত হবে৷ কারণ, গ্রাহকরা আগে থেকেই জেনে নিতে পারবেন তার এলাকায় কোন অপারেটরের নেটওয়ার্ক ভাল৷ সেই অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট গ্রাহক তার পছন্দমতো অপারেটর বেছে নিতে পারবেন৷
ট্রাই চেয়ারম্যান আর এস শর্মা জানান, প্রত্যেক মোবাইল টাওয়ারে পরিষেবার গুণমান কেমন তা গ্রাহকদের জানা উচিত৷ কিন্তু, গ্রাহকদের তা জানানোর জন্য গুণমান পরীক্ষা করে দেখা দরকার৷ পাশাপাশি, নির্দিষ্ট সময় অন্তর নেটওয়ার্কের ক্ষমতার বিষয়টিও টেলিকম অপারেটরদের বাধ্যতামূলকভাবে জানানোর বিষয়টিও ট্রাই চালু করার পরিকল্পনা করেছে৷
শর্মা বলেন, আমরা এমন একটা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে যেখানে একটি ড্যাসবোর্ডে দেশের নাগরিকরা সব সময়ের জন্য দেখতে পাবেন যে তাঁদের এলাকায় পরিষেবার মান কেমন৷ আমরা অপারেটরদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা মানচিত্রে তুলে দেব৷ তিনি জানান, এমন অনেক এলাকা আছে যেখানে কল ড্রপের পরিমাণ ২৫ শতাংশ, যা ট্রাই-এর বেঁধে দেওয়া ২ শতাংশের থেকে বহুগুণে বেশি৷ তিনি বলেন, আমরা আপাতত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখছি কোথায় সমস্যা সবথেকে বেশি এবং তার কারণ কী৷ এই সমস্ত কিছু আমরা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করব৷
অন্যদিকে ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকম সূত্রে খবর, কল ড্রপ সমাধানে অপারেটররা পরিকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ না করলে আগামী বছর স্পেকট্রাম নিলাম নির্ধারিত সময়ের থেকে পিছনো হতে পারে৷ দপ্তরের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল, আগামী বছরের গোড়ার দিকেই স্পেকট্রাম নিলাম করা৷ কিন্তু, তা করার আগে কেন্দ্রীয় সরকার চায় কল ড্রপ সমস্যা সমাধানে মোবাইল অপারেটররা উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়ে তাদের পরিকাঠামোর উন্নয়ন করুক৷ তা যতদিন না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত অতিরিক্ত স্পেকট্রাম নিলামে তোলা হবে না বলে টেলিকম দন্তরের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন৷