শরণার্থীদের দায়িত্ব বাধ্যতামূলকভাবে ভাগাভাগি করে নেয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে চেক রিপাবলিক, স্লোভাকিয়া এবং রোমানিয়া। গত কয়েকদিনে ইউরোপে আসা বিপুল শরণার্থীর চাপ সামলাতে ফ্রান্স ও জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউভুক্ত দেশগুলোতে এ সংক্রান্ত একটি কোটা রাখার প্রস্তাব করেছে।
এদিকে, ব্রিটেন জানিয়েছে তারা আরও ২০ হাজার সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে। আর গ্রীসের লেসবস দ্বীপে আসা তুর্কি অভিবাসীদের থাকার ব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা।
১৯৯০ সালে বল্কান যুদ্ধের পর এই প্রথম এত বিপুল সংখ্যক অভিবাসীর স্রোত ইউরোপে আসার পর ইইউ স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে, তাদের আশ্রয় প্রদান প্রক্রিয়া অপর্যাপ্ত।
জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঙ্গেলা মের্কেল বলেছেন, আনন্দের সাথেই শরণার্থীদের আশ্রয় দিলেও, জার্মানি একা এ সমস্যা সমাধান করতে পারবে না। এ জন্য তিনি ইইউভুক্ত দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মের্কেলের আহ্বানে সাড়দিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁল্যাদ প্রস্তাব করেন ইউরোপের প্রতিটি দেশ শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে বাধ্য থাকবে, এমন একটি কোটা ব্যবস্থা ইইউ চালু করুক। কিন্তু, এ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে, চেক রিপাবলিক, স্লোভাকিয়া এবং রোমানিয়া।
চেক ও স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীরা জানিয়েছেন, তাদের দেশ এ সমস্যার সমাধানে ঐচ্ছিক সাহায্য দেবে।
রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, বাধ্যতামূলক কোটা চালু করে এ সমস্যার সমাধান করা যাবে না।
এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন জানিয়েছেন, আগামী ৫ বছরে ২০ হাজার সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে তার দেশ। তবে, আশ্রয়প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তাদেরই বিবেচনা করা হবে, যারা সিরিয়ায় এখনো বিভিন্ন ক্যাম্পে রয়েছে। এক্ষেত্রে যারা ইতোমধ্যেই পালিয়ে ইউরোপে গমন করেছে, তাদের বিবেচনায় আনা হবে না। সূত্র : বিবিসি বাংলা