রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তা চেতনায় সবসময় কাজ করতো বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশ। এই অবিসংবাদিত নেতা কৈশোর থেকেই বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন। এই মহানায়কের জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না।
শুক্রবার বঙ্গবন্ধুর ৯২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০১২ উপলক্ষে আমি এই মহান নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। এ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের সকল শিশু-কিশোরকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এ সন্তান ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮-এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ’৬৬ এর ৬ দফা, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ’৭০ এর নির্বাচনসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
এজন্য তাঁকে জীবনে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে; সহ্য করতে হয়েছে অমানবিক নির্যাতন। তবুও তিনি কখনো আপোস করেননি। বাঙালি জাতির এই অবিসংবাদিত নেতা ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এদেশের আপামর জনগণ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করে বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। বাঙালি জাতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদান চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের নতুন প্রজন্মকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শৈশব থেকেই তাদের মধ্যে সৎ গুণাবলীর উন্মেষ ঘটাতে হবে যাতে তারা দেশ ও মানুষকে ভালোবাসতে শেখে। বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেমের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার শিশু অধিকার সংরক্ষণ ও বাস্তবায়নে অত্যন্ত আন্তরিক। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালনের উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ এবং সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আমি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই।