ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ২৯৯তম শাখা রাজশাহীর ভবানীগঞ্জে উদ্বোধন করা হয়েছে। রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জি. মো. এনামুল হক সোমবার প্রধান অতিথি হিসেবে মোবাইল কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এ শাখা উদ্বোধন করেন।
ব্যাংকের ডাইরেক্টর হুমায়ুন বখতিয়ার, এসিপিএ, এফসিএ এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ আবুল বাশারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রাজশাহী জোনপ্রধান মো. ফয়জুল কবির, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. আবদুর রাজ্জাক, ভবানীগঞ্জ বণিক সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম হেলাল অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, উলামা, ব্যাংকের নির্বাহী-কর্মকর্তা ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মো. এনামুল হক বলেন, “ইসলামী ব্যাংক দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় ভবানীগঞ্জে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রাখবে।”
তিনি বলেন, “এ ব্যাংক সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সাথে এ অঞ্চলের সকল মানুষের কাছে সমানভাবে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানোর মাধ্যমে তাদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।” তিনি সকলকে এ ব্যাংকের সেবা গ্রহন করতে আহবান জানান।
হুমায়ুন বখতিয়ার, এসিপিএ, এফসিএ বলেন, ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সকল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার আইন, নীতিমালা ও বিধিবিধান অনুসরণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে দেশের সকল মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা এ ব্যাংকের মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, “ইসলামী ব্যাংক আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য ও রেমিট্যান্স আহরণ, শিল্প, বাণিজ্য, কৃষি, আবাসন, এসএমই, শিক্ষা চিকিৎসাসহ কল্যাণমূখী সকল খাতে ব্যাপক অর্থায়নের মাধ্যমে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন দেশের টেকসই ও সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে শহর ও পল্লী এলাকার ধনী দরিদ্রের ব্যবধান কমিয়ে সমাজের অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। উদ্যোক্তা উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব বিমোচন ও সুষম আর্থিক সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখছে এ ব্যাংক।” তিনি ইসলামী ব্যাংকের সার্বজনীন ও কল্যাণমূখী সেবা গ্রহনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
মুহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, “ইসলামী শরী’আহর উদ্দেশ্য অনুযায়ী সার্বজনীন কল্যাণ বৃদ্ধি, অকল্যাণ দূরীকরণ এবং সম্পদ বন্টনের ক্ষেত্রে বন্টনমূলক সুবিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি দরদী ও মানবিক অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে ইসলামী ব্যাংক। সম্পদ বিকেন্দ্রীকরণ ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ নীতির আলোকে বাংলাদেশের সুষম উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে এ ব্যাংক।”
তিনি বলেন, “পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এ ব্যাংক ২০ হাজার গ্রামের ১০ লাখেরও বেশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে কোটি গ্রাহকের এ ব্যাংক।”
স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত আমানত স্থানীয়ভাবে বিনিয়োগ করে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে ভবানীগঞ্জ এলাকার উন্নতি ও জনগণের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।