অষ্ট্রিয়া বলছে, অভিবাসীদের আশ্রয় দিতে যেসব বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছিল দেশটি, এখন সেসব শিথিল করার কথা ভাবছে দেশটি। এর মানে আগে অভিবাসীদের জন্য সীমান্তে যেসব কড়াকড়ি ছিল সেসব পুনরায় কার্যকর করবে দেশটি। তবে এসব পদক্ষেপ ধাপে ধাপে পুনর্বহাল করা হবে বলে জানিয়েছেন, দেশটির চ্যান্সেলর ওয়ার্নার ফেইম্যান।
জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঙ্গেলা মের্কেলের সাথে গতকাল রবিবার টেলিফোনে আলাপ করার পর, ইস্যুকৃত এক বিবৃতিতে ফেইম্যান বলেন, এক জরুরী পরিস্থিতিতে মানবিকতার খাতিরে ১২ হাজারেরও বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে দেশটি।
এদিকে, বেশিরভাগ অভিবাসীর গন্তব্য দেশ জার্মানি বলছে, ইইউভুক্ত দেশগুলোতে আশ্রয়প্রার্থী হবার জন্য যে আইন প্রচলিত রয়েছে, সেটি এখনো বলবৎ রয়েছে। অর্থাৎ অষ্ট্রিয়া এবং জার্মানিতে আশ্রয় নেয়া মানুষেরা সেসব দেশে আশ্রয়প্রার্থী হতে পারবেন না। ইইউভুক্ত যে দেশে তারা প্রথম পৌঁছেছিলেন, সেখানেই এই সংক্রান্ত আবেদন করতে হবে তাদের।
এদিকে, অভিবাসীদের নিয়ে ইইউ দেশগুলোর মত-ভিন্নতার মধ্যে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান আন্তোনিও গুয়েটার্স বলেছেন, এই সংকট সামলাতে ইইউভুক্ত দেশগুলোর একটি যৌথ পরিকল্পনায় একমত হওয়া দরকার।
এদিকে, হাঙ্গেরীর দক্ষিণে সার্বিয়া সীমান্তের কাছে যেখানে অভিবাসীদের জন্য একটি নতুন ক্যাম্প খুলেছে, কর্তৃপক্ষ সেখানে একটি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রেখেছে বলে খবরে জানা যাচ্ছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা