সুন্দলপুরের গ্যাস জাতীয় লাইনে যুক্ত হচ্ছে শনিবার

সুন্দলপুরের গ্যাস জাতীয় লাইনে যুক্ত হচ্ছে শনিবার

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সুন্দলপুর (শাহজাতপুর) ক্ষেত্রের গ্যাস শনিবার জাতীয় লাইনে যুক্ত করতে যাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।

সুন্দুলপুর গ্যাস ক্ষেত্রের তিনটি কূপ থেকে ১০ বিলিয়ন করে ৩০ বিলিয়ন গ্যাস পাওয়া যাবে।

গ্যাসক্ষেত্রের প্রকল্প পরিচালক আবদুল হালিম শনিবার পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় লাইনে যোগ হবে বলে নিশ্চিত করেছেন।

এ ক্ষেত্রের তিনটি কূপের মধ্যে একটি হতে ১৭ মার্চ শনিবার থেকে দৈনিক ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় লাইনে যোগ করা যাবে বলে প্রকল্পের ব্যবস্থাপক (উত্তোলন) প্রকৌশলী শাহজাহান জানান ।

শাহজাহান আরও জানান, ২০০৮ সালের জুলাই মাসে বাপেক্স নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সুন্দলপুরে সাড়ে তিন একর জমিতে গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ শুরু করে। ১ হাজার ৫০০ মিটার গভীরে গ্যাসের সন্ধান পায় বাপেক্স।

তিনি জানান, ২০১১ সালের ১৭ আগস্ট পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস প্রজ্জ্বলন করা হয়। এটি বাংলাদেশের ২৪তম ‘গ্যাস কূপ খনন প্রকল্প’।

এ প্রকল্পে প্রায় ৭৪ কোটি টাকা প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছিল। ২০১০ সালের মাঝামাঝি খনন কাজ শুরু করা হয়। সুন্দলপুরের গ্যাস স্তরটি রয়েছে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৩৯৯ থেকে ১ হাজার ৪০৫ মিটার গভীরে। প্রায় ৫ মিটার পুরু এ গ্যাস স্তরটির বিস্তৃতি অনেক।

দ্বিমাত্রিক জরিপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার পর ২০০৭ সালের অক্টোবরে সুন্দলপুরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে কূপ খনন প্রকল্প হাতে নেয় বাপেক্স। এ প্রকল্পে ৭৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। একনেক ২০০৮ সালের ২২ মে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়।

তবে রিগ সঙ্কটসহ বিভিন্ন কারণে সময়মতো অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়নি।

প্রথম দু’ধাপে ৩ হাজার ১৯৬ থেকে ৩ হাজার ২২০ মিটার এবং ৩ হাজার ১১৮ থেকে ৩ হাজার ১২১ মিটার পর্যন্ত খনন করা হয়। কিন্তু এ দুটি জোনে লাভজনক গ্যাসের সন্ধান মেলেনি। বরং রিগ তুলে আনার সময় ভূ-গর্ভের গভীরে পাইপ আটকে যায়।

তিনি বলেন, ‘১৫ বছর পর নোয়াখালীতে নতুন এই গ্যাসক্ষেত্র পাওয়া গেছে। পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলনের ৬ মাস পর আমরা আগামী সপ্তাহ থেকে জাতীয় লাইনে সরবরাহ করতে যাচ্ছি। এটি একটি বড় অর্জন।’

দেশে বর্তমানে দৈনিক ২৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে ২০০ কোটি ঘনফুট পাওয়া যাচ্ছে। সেই হিসেবে ৫০ কোটি ঘনফুট ঘাটতি থাকছে।

‘সুন্দলপুর তেল, গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন’ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক (উত্তোলন) ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান জানান, সুন্দলপুর গ্যাস ক্ষেত্রে আনুমানিক ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ) গ্যাস মজুদ রয়েছে।

বাংলাদেশ