বাগেরহাট জেলার মংলা সুন্দরবনের মরাভোলা এলাকায় শুক্রবার র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৫ বনদস্যু নিহত হয়েছেন।
এ সময় ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২টি ইয়ারগানসহ ২৪০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- সোহাগ বাহিনীর সোহাগ (২৬), গামা বাহিনীর সদস্য আলমগীর (২২), আসাদুল (৩০), কবির (৩২) ও জিহাদ বাহিনীর প্রধান জিহাদ (৩৩)।
গামা বাহিনীর ৩ সদস্যের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের পানিরঘাট এলাকায়। সোহাগের বাড়ি একই উপজেলার খুড়িয়াখালী গ্রামে এবং জিহাদের বাড়ি রামপাল উপজেলায়।
দুপুর ১২টার সময় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত র্যাবের অভিযান চলছিল।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোস্টগার্ডের এক কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল ৯টায় র্যাব সুন্দরবনের মরাভোলা এলাকায় অভিযান চালায়।
এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বনদস্যু সোহাগ বাহিনীর সদস্যরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে সোহাগ বাহিনীর প্রধান সোহাগসহ তার বাহিনীর অন্য ৪ সদস্য নিহত হয়।
এ অভিযানে আরো ১০ বনদস্যু আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি র্যাব-৮ এর উপপরিচালক লে. নুরুজ্জামানের বরাত দিয়ে জানান, সোহাগ ও গামা বাহিনীর সঙ্গে র্যাবের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
এ সময় ৫ বনদস্যু নিহত হয় এবং সেখান থেকে ২টি শর্টগান, ৮টি বন্দুক, ১টি রিভলবার, ২টি ইয়ারগান, ১টি থ্রিনট থ্রি রাইফেল, ২৪০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।