দেশের আইনজীবীদের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বার কাউন্সিল নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা। এর মধ্য দিয়ে মাত্র তিন বছরের মাথায় সরকার-সমর্থক আইনজীবীরা কাউন্সিলে আবার তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করলেন।
বার কাউন্সিল নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল বুধবার দিবাগত রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। আনুষ্ঠানিক ফলাফল অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ ও সমমনা আইনজীবী সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ১৪টি সদস্য পদের মধ্যে ১১ টিতে নির্বাচিত হয়েছে। বাকি তিনটি পদ জিতেছে বিএনপি ও সমমনা আইনজীবী সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ।
চূড়ান্ত ফলাফল অনুযায়ী, বার কাউন্সিলের সাতটি সাধারণ সদস্য পদে আওয়ামী লীগপন্থী পাঁচজন ও বিএনপিপন্থী দুজন নির্বাচিত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন আবদুল বাসেত মজুমদার, এম আমীর-উল-ইসলাম, আবদুল মতিন খসরু, জেড আই খান পান্না ও শ ম রেজাউল করিম।
বিএনপিপন্থী বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এ ছাড়া গ্রুপের সাতটি সদস্য পদের মধ্যে ছয়টিতেই আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীদের প্যানেল জয়লাভ করেছে।
তালিকা নিয়ে জটিলতার কারণে কয়েকবার পেছানোর পর গত ২৬ আগস্ট সারা দেশে এই বার কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৭৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪৩ হাজার ৩০২ জন। কাউন্সিলের ১৪টি সদস্য পদের জন্য ৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
স্বাধীনতার পর থেকে বার কাউন্সিলের নেতৃত্ব বরাবরই ছিল আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আইনজীবীদের নেতৃত্বে। ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বার কাউন্সিলের নেতৃত্বে যান বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীরা। ওই নির্বাচনে ১৪টি সদস্য পদের মধ্যে নয়টিতে বিএনপি সমর্থকেরা এবং পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা বিজয়ী হয়। নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে ভোটাভুটিতে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন খন্দকার মাহবুব হোসেন।
বার কাউন্সিলের নির্বাচন হয় তিন বছর পর পর। সারা দেশের আইনজীবীরা ১৪ জন সদস্যকে ভোটের মাধ্যমে কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকারবলে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হন।