পাকিস্তানের সেরা অফ স্পিনার সাঈদ আজমল বলেছেন কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে যে তাকে আর দরকার নেই তবে অবসর নিতে প্রস্তুত তিনি।
স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে আজমল বলেন, ‘আমি সব সময়ই মেধা ও আমার পারফরমেন্স দিয়ে খেলে আসছি। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) যদি মনে করে যে, আমি আর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারছিনা, আমি অনুরোধ করব তারা যেন আমাকে জানায় যাতে আমি সম্মানের সঙ্গে অবসর নিতে পারি।’
‘আমার জন্য পিসিবিও অনেক কিছু করেছে এবং আমার পরীক্ষাকালীন সময়ে যথেষ্ট সাহায্য করেছে। সবকিছু মিছিলে আমার অবস্থান কোথায় সে বিষয়ে আমি পরিষ্কার একটা ধারণা পেতে চাই।’
নতুন বোলিং অ্যাকশনে চলতি মৌসুমে অতি সম্প্রতি ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে উরস্টারশায়ারের হয়ে খারাপ পারফরমেন্সের পর নির্বাচকরা তার ওপর অসন্তোস প্রকাশ করেছেন।
অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে গত সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আজমলকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি। এরপর নিজের বোলিং অ্যাকশন শুধরান তিনি। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ সফরে পুনরায় দলে ফেরেন তিনি। কিন্তু কাউকেই খুশি করতে পারেননি তিনি। এরপর শ্রীলংকা সফরের দল থেকে বাদ পড়েন আজমল।
আজমল বলেন, ‘পাকিস্তান দলে নেয়ার জন্য আমি কখনোই কাউকে বাধ্য করিনি। আমি যদি ভাল পারফরমেন্স করেও নির্বাচকদের খুশি করতে না পারি তবে সেটা আমার জন্য সমস্যা নয়।
আমি সব সময়ই স্ব-সম্মান ও গর্ব নিয়ে ক্রিকেট খেলেছি। আমি শুভাকাংখী ও ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতে অবসর নেয়ার জন্য সঠিক একটি সুযোগ চাই।’
আজমল আরো বলেন আসন্ন ঘরোয়া টি-২০ চ্যাম্পিয়নশীপে তিনি অংশ নিতে যাচ্ছেন এবং তাকে বাজিয়ে দেখতে নির্বাচকদের জন্য এটা একটা ভালো সুযোগ।
আজমল বলেন, ‘তারা (নির্বাচকরা) যদি আবারো ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমীতে আমাকে পরীক্ষা করতে চান, আমি প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় টি-২০ লীগের মূল পর্বে আমি অংশ নিচ্ছি এবং আমার শুধরানো বোলিং অ্যাকশনে আমার উন্নতি হয়েছে কিনা নির্বাচক ও জনগণ বুঝতে পারবে।’
ইংল্যান্ডে কিছু দিন কাটানোর পর নিজের নতুন অ্যাকশন নিয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী বলেও জানান আজমল।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার সময়ও নিজের অ্যাকশন নিয়ে আমি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। কিন্তু এখন বিষয়গুলো ভিন্ন এবং ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে আমি তা ভাবতে পারি না। আমি জানি এখনো আমি দেশের হয়ে খেলতে পারি।’ -সংবাদ সংস্থা