জ্বালানি তেলের দাম না কমানোর পক্ষে মত দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, “আবারও যে কোনো মুহূর্তে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে। এখন কমিয়ে দিলে তখন আবার সরকারকে তেলের দাম বাড়াতে হবে। সরকারের পক্ষে এভাবে ঘন ঘন তেলের দাম পরিবর্তন করা কঠিন কাজ।”
বুধবার শেরেবাংলা নগরে এনইসি মিলনায়তনে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিশ্ব বাজারে গত এক বছর ধরে জ্বালানি তেলের দরপতন চললেও ভর্তুকির লোকসান থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে তুলতে দাম অপরিবর্তিত রাখে সরকার।
তবে গত সপ্তাহে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কয়েকদিন আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় সেপ্টেম্বরে করার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
মুস্তফা কামাল বলেন, “গত এক বছর ধরে তেলের দাম না কমানোটি সঠিক সিদ্ধান্ত। আন্তর্জাতিক বাজারে কম দামে বিক্রি হলেও এখনও তেলের দাম না কমানো ঠিকই আছে। তাছাড়া বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) হাজার হাজার কোটি টাকার পুঞ্জিভূত লোকসান পুষিয়ে নিতে হলে তেলের দাম কমানোর সুযোগ নেই।”
বাংলাদেশে সর্বশেষ ২০১৩ সালে সমন্বয়ের সময় বাড়ানো হয়েছিল জ্বালানি তেলের দাম। বর্তমানে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৭ টাকা, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তটিও যথার্থ মনে করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, “গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাংলাদেশে পৃথিবীর সবচেয়ে কম। গ্যাস ও বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ তুলতে হলে দাম বাড়ানোর বিকল্প ছিল না। সরকার তো আর জনগণকে গ্যাস-বিদ্যুৎ ফ্রি দিতে পারে না। তাহলে সরকার চলবে কীভাবে।”