এশিয়ার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদেরকে আর্থিক সহায়তা দেয়া প্রয়োজন। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়। এশিয়ার উন্নয়নশীল বিশটি দেশের উপর পরিচালিত ‘এশিয়া এস এম ই ফাইনান্স মনিটর ২০১০’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিবন্ধনকৃত ফার্মের ৯৬ শতাংশই এসএমই এবং শ্রম শক্তির ৬২ শতাংশই কর্মচারী। অথচ তারা অর্থনীতিতে মাত্র ৪২.০ শতাংশ অবদান রাখে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অঞ্চলের সরকারগুলোর উচিৎ আরো প্রতিযোগি করতে এবং বৈশ্বিক ভ্যালু চেইনে অংশ নিতে সক্ষমতা অর্জনে অর্থ সহায়তা দেয়া। সরকারকে এসএমইএকে ঋণ পাবার ক্ষেত্রে আরো সহজ করে দেয়া উচিৎ হবে। এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্যাংক ঋণের সুবিধা কম হওয়ায় টিকে থাকার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। এতে আরো বলা হয়, এসএমইকে ঋণ প্রদানে অনিহা প্রদর্শনে ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। এ সময়ে এসএমই মোট ব্যাংক ঋণের মধ্যে মাত্র ১৮.৭ শতাংশ ঋণ পায়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় এশিয়ায় লক্ষ্যাধিক ক্ষুত্র ও মাঝারি শিল্প কল-কারখানা রয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে খুব স্বল্প সংখ্যক এসএমই অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়। এ সকল শিল্প-কল কারখানা বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহের চেইনের অংশ হতে পারে। এ জন্য এ সকল প্রতিষ্ঠানের মূলধন আরো বাড়ানো প্রয়োজন এবং বিভিন্ন আর্থিক চ্যানেলে প্রবেশের সুযোগ থাকা উচিৎ। এডিবি’র টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের সিনিয়র উপদেষ্টা নরিটাকা আকামাতসু এ কথা বলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়। এই বিষয় মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে মাত্র কয়েকটি দেশের অগ্রগতি হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে পাপুয়া নিউ গিনি এবং সলোমান দ্বীপের কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনে এসএমই’র জন্য ব্যাংক ঋণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং কাজাখস্তান ও মঙ্গোলিয়া ঋণ পুনঃতফসিলকরণে উৎসাহিত করা হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, নিম্নআয়ের দেশে আর্থিক খাত বিস্তৃত করতে ঋণ নিশ্চয়তা থাক প্রয়োজন। ননব্যাংক ফাইনান্সিয়াল ইনিস্টিউশন প্রসারে সহায়তা করার ক্ষেত্রে সরকারের একটি নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। এসএমই’র প্রয়োজনে দীর্ঘ মেয়াদি অর্থায়ান একটি ইকুইটি বাজার গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।