দুর্নীতির পর এবার ইউক্রেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া তিমোশেঙ্কোর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে যে, তিমোশেঙ্কো ১৯৯৬ সালে এক রাজনীতিক ও ২ ব্যাক্তিকে হত্যার জন্য খুনি ভাড়া করেছিলো।
এ মামলার সহ কৌঁশলি রিনাট কুজমিন জানান, ইউক্রেনের সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী তিমোশেঙ্কো এবং পাভলো লাজারেনকো পরিচালিত প্রতিষ্ঠান দেশটির রাজনীতিবীদ ইয়েভহেন সাচারবানকে হত্যার জন্য খুনিদের টাকা দিয়েছিলো।
১৯৯৬ সালে বিমানবন্দরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক সহকারি সহ ইয়েভহেন সাচারবানকো সস্ত্রীক নিহত হন।
কুজমিন আরো জানান, খুনিদের অর্থ যোগান দিতে তিমোশেঙ্কো তার একাউন্টের অর্থ ব্যাবহার করে অলঙ্কার ও দামি যেসব জিনিষপত্র কিনেছিলেন তার সম্পর্কে তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে। বর্তমানে তারা এই মামলাটি গভীরভাবে পর্বেক্ষণ এবং প্রয়োজনে এ বিষয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফর্নিয়া জেলে থাকা আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী লাজারেনকোকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র লাজারেনকোকে জিজ্ঞাসাবাদ বিষয়ে এক বছরেরও বেশি সময় তাদের অনুরোধ ফিরিয়ে দিচ্ছে বলে জানান তিনি
অবশ্য তিমোশেঙ্কোর আইনজীবী সিরহিই ভ্লাসেনকো কুজমিনের বক্তব্যকে অসত্য বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ইউকেনের জনগণের কাছে তিমোসেনকোর ইমেজ ক্ষুন্ন করতেই এই অভিযোগ করা হয়েছে।
৫১ বছর বয়স্ক তিমোসেনকো বর্তমানে ২০০৯ সালে রাশিয়ার সাথে গ্যাস চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগে ৭ বছর কারাদণ্ড ভোগ করছেন। এবং লাজারেনকো বর্তমানে দুর্নীতি মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফর্নিয়াতে ৯ বছর কারাদণ্ড ভোগ করছেন।