জাতিসংঘ প্রকাশিত এক স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে, সিরিয়ার প্রাচীন নগরী পালমিরার বেল মন্দিরটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। টুইটারে আজ ঐ চিত্র প্রকাশ করা হয়।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিস্ফোরণে মন্দিরের প্রধান ভবন গুড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত।
সেই সঙ্গে ভবন সংলগ্ন পাথরের স্তম্ভের সারিও বিস্ফোরণের মাধ্যমে গুড়িয়ে দিয়েছে ইসলামিক ষ্টেট জঙ্গিরা।
গত শনিবার পালমিরার বাসিন্দারা বড় ধরণের একটি বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনেছেন বলে জানান।
ধারণা করা হয়, গত মে মাস থেকে পালমিরার নিয়ন্ত্রণে থাকা ইসলামিক ষ্টেট জঙ্গিরা ঐ বিস্ফোরণ ঘটায়। এর মাধ্যমে তারা দুই হাজার বছরের পুরনো স্থাপনাটি পুরোপুরি ধ্বংস করে।
এর আগে সিরিয়ার প্রাচীন স্থাপনা সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন যে, তার বিশ্বাস বিস্ফোরণের পরেও পালমিরার ঐ মন্দিরটির মূল স্থাপনা অটুট রয়েছে।
তবে, এখন জাতিসংঘের প্রকাশিত স্যাটেলাইট চিত্র পালমিরার বেল মন্দিরটি ধ্বংসের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
টেম্পল অব বেল বা বেল মন্দির জাতিসংঘের বিশ্ব ঐতিহ্যের একটি অংশ। একে পুরো পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সিরিয়ার সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক উপমন্ত্রী এবং একজন প্রতœতত্ত্ববিদ আব্দাল রাযযাক মোয়াজ বলেছেন, এই মন্দির ধ্বংস হওয়া পুরো পৃথিবীর জন্যই একটি বড় ক্ষতি।
মি. মোয়াজ বলেছেন, আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন, এটি একটি আন্তর্জাতিক দুর্যোগ ও ক্ষতি।
শুধু সিরিয়ার জন্যই নয়, বেল মন্দির ধ্বংস হওয়া মানবতা এবং সারা বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য একটি ভয়াবহ ঘটনা।
এটি আমাদের নিজস্বতার প্রতীক ছিল, এবং বিশ্ব ঐতিহ্যের একটি অংশ।
জাতিসংঘের ঐ স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে, মন্দিরের প্রায় পুরোটাই মাটির সঙ্গে মিশে গেছে, এবং আর কোন স্থাপনা অটুট নেই।
তবে, পালমিরার মন্দিরগুলোর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিতভাবে নিরূপণ সম্ভব হয়নি।
গত সপ্তাহেই আইএস জঙ্গিরা পালমিরার বালশামিন মন্দির গুড়িয়ে দেবার ভিডিও প্রকাশ করে।
অন্য ধর্মের মন্দির থাকাকে ধর্মবিরুদ্ধ মনে করে আইএস জঙ্গিরা।
সূত্র: বিবিসি বাংলা।