থাইল্যান্ডের একটি আদালত কম্পিউটার ক্রাইম অ্যাক্ট লঙ্ঘন ও দেশটির নৌবাহিনীকে অবমাননার অভিযোগ থেকে দুই সাংবাদিককে মুক্তি দিয়েছে। ছুতিমা সিদাসাথিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক অ্যালান মরিসনের মানব পাচারের ওপর করা একটি প্রতিবেদনে ঐ দুই সাংবাদিক একটি বাক্য লেখেন যার জন্য তাদের কারাভোগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।
রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে উদ্ধৃত করা একজন বেনামি মানবপাচারকারির বরাত দিয়ে বলা হয়েছিল থাইল্যান্ডের নৌবাহিনী পাচার ঠেকাতে কাজ না করার জন্য অর্থ গ্রহণ করেছে। তবে রয়টার্স বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনা হয়নি।
রয়টার্স এবং ফুকেটান, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের পাচারের কাজে থাইল্যান্ডের সম্পৃক্ততার বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন তৈরি করে।
তারপর থেকেই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় যে পথ দিয়ে মানুষজন মালয়েশিয়াতে যাচ্ছিল সেই পথ সংলগ্ন জঙ্গলের মধ্যে ক্যাম্প ও নৌকায় হাজার হাজার মানুষের দুর্বিষহ অবস্থায় আটকে পরার খবর প্রকাশ পায়।
ফুকেট থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জনাথন হেড বলছেন ছুতিমা নামে একজন সাংবাদিকের থাই নৌবাহিনীর কিছু কর্মকর্তার সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল। তাদের কাছ থেকেই তিনি শুনেছিলেন মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের একটি বড় অংশ থাইল্যান্ডের আন্দামান উপকূলে আসছে।
আদালতের বাইরে ছুতিমা বলেন এই রায় থাইল্যান্ডে মানুষের বাক-স্বাধীনতার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পথে একটি বড় পদক্ষেপ। সূত্র : বিবিসি বাংলা