টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে তিস্তা অববাহিকার ২৫টি গ্রাম ও চর। তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ভোরে নদীর পানি বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকালে তা ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বন্যা পরিস্থিতিতে প্রায় অর্ধ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা, কালিগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের সহস্রাধিক পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়িগুলো হাঁটু পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
ডালিয়া পাউবো বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পূর্বাভাস সূত্র জানায়, উজানের ঢলে আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে নীলফামারীর ডালিয়ায় নদীর পানি বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। সকাল ৯টায় পানি প্রবাহ কিছুটা কমে ৩০ সেন্টিমিটার ও বিকেল ৩টায় পানি প্রবাহ আরো কমে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। ব্যারেজে পানি প্রবাহ কমতে থাকলেও নিম্নাঞ্চলে মানুষ এখনও পানিবন্দি রয়েছে।
ডালিয়া পাউবো উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুরত উজ জামান জানান, তিস্তা ব্যারেজের সবক’টি (৪৪টি) গেট খুলে দিয়ে পরি¯ি’তি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, খগাখড়িবাড়ি, পুর্ব ছাতনাই, নাউতারা, গয়াবাড়ি, জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, শৌলমারীসহ লালমনিরহাট জেলার কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
খালিশা চাপানী ইউনিয়নের বাইশ পুকুর ইউনিয়নের পশ্চিম বাইশপুকুর চরের সহিদুল ইসলাম জানান, চরের প্রতিটি বাড়ির ঘরের ভেতর পানি প্রবেশ করেছে। পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক আব্দুল লতিফ খান বলেন, তিস্তার বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বন্যাকবলিত এলাকাগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে এবং সরকারিভাবে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষদের নিরাপদে রাখা ও তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখতে জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে।