বেইজিংয়ে সদ্য সমাপ্ত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে একশ ও দুইশ মিটার দৌড়ে প্রথম হয়ে আবারো আলোচনায় ক্যারিবিয়ান অ্যাথলিট উসাইন বোল্ট।
২০০৮ সাল থেকে শুরু করে বোল্ট যতগুলো দৌড় প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছেন তার মধ্যে একটি ছাড়া প্রতিটিতেই প্রথম হয়েছেন তিনি।
একমাত্র ব্যর্থতাটির পেছনে ছিল ‘ভুল শুরু’র কারণে বাদ পড়ে যাওয়া।
অন্য পেশাদার দৌড়বিদেরা যখন ৪৫ ধাপে একশ মিটার দূরত্ব পার হন তখন উসাইন বোল্টের লাগে মোটে ৪১ ধাপ
গ্রেট ব্রিটেনের সাবেক দৌড়বিদ ক্রেইগ পিকারিং বলছেন, বোল্ট জন্মগত ভাবেই সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি লম্বা সে।
‘অতিরিক্ত লম্বা পা হওয়ায় শুরুতে গতি তুলতে পারে না সে। কিন্তু যখন গতির শীর্ষে পৌঁছে যায় তখন তার গতি হয় সবার চাইতে বেশি, কারণ লম্বা পা থাকার দরুন অন্যদের চাইতে কম ধাপ দিলেই অন্যদের সমান বা বেশি গতি সে পায়’।
‘সাধারণভাবে ৪১ ধাপেই ১শ মিটার দৈর্ঘ্য অতিক্রম করে বোল্ট। তার মানে তার ধাপ দীর্ঘ। আর এই দীর্ঘ ধাপই আসলে পার্থক্য গড়ে দেয়’, বলছেন মি.পিকারিং।
গবেষণা দেখাচ্ছে, অপেশাদার দৌড়বিদরা একশো মিটার দৌড় শেষ করতে যেখানে ৫০ থেকে ৫৫টি ধাপ দেয় সেখানে পেশাদার দৌড়বিদেরা দেয় ৪৫টি ধাপ।
লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. স্যাম অ্যালেন বলেন, পেশাদার দৌড়বিদদের পেশীতন্তুর গঠনই আলাদা। আর এরা দৌড়ের সময় মাটিতে যতক্ষণ থাকে তার চাইতে অনেক বেশি সময় থাকে শূন্যে, যেটা তাদেরকে সামনের দিকে দ্রুত ঠেলে দিতে সাহায্য করে।
‘শতকরা ষাট ভাগ সময় শূন্যে থাকেন পেশাদার দৌড়বিদেরা’, বলছেন মি. অ্যালেন।
কিন্তু প্রসঙ্গ যখন বোল্ট তখন ব্যাপারটার মধ্যে নিশ্চিতভাবেই আরো আলাদা কিছু আছে।– বিবিসি