ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী খাতুনের পরিবারকে ৫ লাখ রুপী ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সেদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশন বলেছে, ছয় মাসের মধ্যে এ ক্ষতিপূরণ দেবার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশের একটি কপি বিবিসির হাতে এসেছে, যাতে ফেলানির পরিবারকে ৫ লক্ষ ভারতীয় রুপি ‘মনিটারি রিলিফ’ বা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়ার জন্য ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এতে বলা হয় – বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের দায়ের করা এক অভিযোগের ভিত্তিতেই এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ছ’সপ্তাহের মধ্যে এই নির্দেশ যে পালন করা হয়েছে তা অর্থ দেবার প্রমাণসহ কমিশনের কাছে জানাতে হবে। ২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি কুচবিহারের চৌধুরীহাটে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ফেলানী খাতুন নিহত হয় – যার খবর ও ছবি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে ।
কমিশন বলছে, নিরস্ত্র ওই কিশোরীর ওপর গুলি চালানোর কোন যৌক্তিকতা ছিল না। এ ঘটনার ব্যাপারে বিএসএফের নিজস্ব আদালতের যে রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছিল তা উদ্ধৃত করে কমিশন বলছে , গুলিবর্ষণকারী বিএসএফের কনস্টেবল অমিয় ঘোষ তার আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলিরবর্ষণের যে অধিকার – তা লংঘন করেছেন। এ ঘটনার বিচারের প্রক্রিয়া যে অবস্থাতেই থাকুক, তা ক্ষতিপূরণ দেবার ক্ষেত্রে কোন অন্তরায় হবে না। এ ব্যাপারে বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করা হলেও আনুষ্ঠানিক কোন প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয় নি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।