মোবাইল ব্যাংকিং শুরু করল ব্যাংক এশিয়া

মোবাইল ব্যাংকিং শুরু করল ব্যাংক এশিয়া

মোবাইল ব্যাংকিং এবং অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সেবা শুরু করল বেসরকারি খাতের ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এর ফলে ব্যাংক এশিয়ার গ্রাহকরা এর ‘এক্সপ্রেস ক্যাশ’ এর মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে টাকা পাঠাতে পারবেন এবং অ্যালার্টপে সেবার মাধ্যমে বিদেশ থেকে দ্রুততম সময়ে টাকা দেশে আনা যাবে।

রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্যাংক এশিয়া। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ রউফ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. আহসান উল্লাহ, দাশগুপ্ত অসীম কুমার, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পলিসি উপদেষ্টা আনির চৌধুরী। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেইন।

এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ ও নিরাপদ ব্যাংকিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে নতুন নতুন সেবা চালু করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের এসব উদ্যোগের ফলে সম্প্রতি কানাডাভিত্তিক অনলাইন অর্থ স্থানান্তরকারী প্রতিষ্ঠান অ্যালার্টপে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করেছে। বিশ্বের জনপ্রিয় অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে পেপ‍ালের সেবা কার্যক্রমে বাংলাদেশকে অন্তর্ভ‍ুক্ত করা হবে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় তিনি চলতি অর্থ বছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ১৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও জানান।

এ রউফ চৌধুরী বলেন, ‘ব্যাংক এশিয়া বর্তমানে ৭২টি শাখার মাধ্যমে দেশে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ৭টি বেসরকারি সংস্থার শাখার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকরা রেমিটেন্স পাচ্ছেন। আমাদের নেটওয়ার্কের এই বিস্তৃতি আমাদের বিশ্বাস করতে শিখিয়েছে সমগ্র বাংলাদেশ জিরো কিলোমিটার।’

তিনি বলেন, ‘দেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ ব্যাংকিং সেবার বাইরে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের ব্যাংকিং সেবায় নিয়ে আসতে হবে। ব্যাংক এশিয়া সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা নিয়ে যেতে চাই। তবে শুধু মুনাফার জন্য নয়। মানুষকে সেবা দিতেই আমরা কাজ করছে।’

এ সময় মেহমুদ হোসেইন বলেন, ‘ব্যাংক এশিয়া মোবাইল ব্যাংকিং দিতে ইতোমধ্যে ১৩টি এনজিওর সঙ্গে চুক্তি করেছে। জুনের মধ্যে ৫০০ সেবাকেন্দ্র চালু হবে। আর বছর শেষে হবে এক হাজারটি সেবা কেন্দ্র।’

অর্থ বাণিজ্য