পৃথিবীজুড়ে আজ যখন গুম হয়ে যাওয়া মানুষের স্মরণে একটি আন্তর্জাতিক দিবস পালন করা হচ্ছে, তখন বাংলাদেশের একটি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্র বলছে এই বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট ৩৬ জন মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন এবং এসব ঘটনার পেছনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আর ২০০৭ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ৩৩০টি।
সংস্থাটির পরিচালক নুর খান লিটন বিবিসিকে বলেন, “যে সমস্ত ঘটনার পেছনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা আছে বলে দাবী করা হয় সেগুলোকেই আমরা আমাদের পরিসংখ্যানে যুক্ত করি।”
“বাস্তবে যেটা দেখছি, কোন মানুষ যখন অপহৃত হচ্ছে তখন পরিবারের সদস্যদের কাছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথা বলা হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাহিনীর গাড়িও তারা দেখছেন। কিন্তু থানায় গিয়ে যখন অভিযোগ করা তখন অভিযোগগুলো নেয়া হয় না, কেবলমাত্র নিখোঁজ শব্দটি যদি লাগিয়ে দেয়া হয় তাহলে শুধুমাত্র সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করা হয়।” বলছেন নুর খান।
তিনি বলেন, “পরবর্তীতে অনেকের লাশ মিলেছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ছয়মাস, তিন মাস বা চার মাস পর নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।”
“কেউ কেউ ফিরে এসেছেন কিন্তু তারা মুখ খুলতে চান না। দু একজনের সঙ্গে কথা বলে যে বিভীষিকাময় বর্ণনা আমরা পেয়েছি, সেটি আসলে নিরাপত্তা জনিত কারণে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।”
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, বাংলাদেশে এধরণের সাম্প্রতিক আলোচিত নিখোঁজের ঘটনার শিকার হন বিরোধী দল বিএনপির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বাংলাদেশ থেকে নিখোঁজ হবার দুইমাস পর ভারতের শিলংয়ে আটক হন।
আটক হবার পর আহমদ সেখানে সাংবাদিকদের কাছে দাবী করেছিলেন তাকে চোখ-হাত বেঁধে শিলংয়ে ফেলে দিয়ে আসা হয়েছিল। -বিবিসি