সিআর সেভেনের উপর বোমা! তাও আবার উয়েফার অনুষ্ঠানে।
ফুটবলবিশ্বে কিছু অবিস্মরণীয় ফ্রেম। ১৯৭০ বিশ্বকাপ। খেলার শেষে পেলে জড়িয়ে ধরছেন ববি মুরকে। ঢুঁসো-কলঙ্কিত জিদান বিশ্বকাপ ট্রফির পাশ দিয়ে মাঠ ছাড়ছেন মাথা হেঁট করে। ফুটবল লোকগাথায় এমনই সব মুহূর্তের পাশে আরও একটা মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হল মন্টে কার্লোয়। যখন ফুটবলের গ্ল্যামারবয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর উপর ‘বোমা’ ফেললেন এক আর্জেন্টিনীয়।
ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে তো সিআর সেভেনকে পিছনে ফেলেছেনই, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানে তার ছবিটাও ‘ফটোবম্ব’ করে একেবারে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিলেন লিওনেল মেসি। বলা হচ্ছে, দু’জনের রেষারেষিটা এত ভালো করে এক ফ্রেমে এর আগে কখনও ধরা পড়েনি।
অন্য কারও ছবি তোলার সময় সেই ফ্রেমে ঢুকে গিয়ে অদ্ভুত মুখভঙ্গি বা ইঙ্গিতে নিজের দিকে মনযোগ আকর্ষণ করাটাকেই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ‘ফটোবম্ব’ করা বলা হয়। তবে লিওনেল মেসিকে এই মেজাজে সচরাচর দেখা যায় না। তার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী, পর্তুগাল মহাতারকার সঙ্গে কোনো অনুষ্ঠানে তো নয়ই। রোনাল্ডোকে তাই মেসির ফটোবম্ব করা নিয়ে ফুটবলবিশ্বে তোলপাড় পড়েছে।
ছবিতে রোনাল্ডোর ঠিক পিছনের টেবলেই বসে থাকা মেসির মুখভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে যেন রেস্তোরাঁয় সুখাদ্যের জন্য অপেক্ষা করতে করতে অবশেষে সেটা টেবলে আসতে দেখছেন এলএম টেন। অনেকে আবার বলছেন আসলে ছবিতে আর্জেন্তিনীয় তারকা যেন বলতে চাইছেন গোটা ফুটবলবিশ্বের ফোকাসে যতই রোনাল্ডো থাকুন, পরপর দু’বার বিশ্বসেরা ফুটবলারের ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দখল করুন, এবার তার পার্টি নষ্ট করতে তিনি এসে গিয়েছেন।
রোনাল্ডো নিজেও যে ফটোবম্ব করেননি তা নয়। সতীর্থদের সাক্ষাৎকারের মাঝে হঠাৎ মজার মুখভঙ্গি করে তার ক্যামেরার সামনে আসার ঘটনা আগেও দেখা গিয়েছে। গত মাসেই একটি চ্যানেলে রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ মার্সেলোর সাক্ষাৎকারের সময় যা দেখা যায়। কিন্তু খোদ তিনিই যে একই ঘটনার শিকার হবেন সেটাই বা কে জানত!
মেসি-রোনাল্ডোর এই ঘটনায় আরও একটা ব্যাপার ফের প্রমাণ হল, মাঠে না নেমেও ফুটবল দুনিয়া মাতাতে পারেন দুই মহাতারকা!
ইব্রার ধাক্কা
ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছেন। ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ‘ক্র্যাশ’ করে গেল ওয়েবসাইট! ঘটনার কেন্দ্রে জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচ। প্যারিস সাঁ জাঁর হয়ে যিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ গ্রুপ ম্যাচ খেলতে আসছেন পুরনো ক্লাব মালমোর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার লিগ ড্রয়ের পরপর মালমো-প্যারিস সাঁ জাঁ ম্যাচের কথা জানতে পেরে মালমোর ওয়েবসাইটে এত ‘হিট’ হয় যে, সাইট ক্র্যাশ করে যায়। ২০০১-এ মালমো ছেড়ে আয়াক্স গিয়েছিলেন ইব্রা।– ওয়েবসাইট।