বিসিবির বেঁধে দেয়া সময়সীমার (২৭ আগস্ট) মধ্যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ টুর্নামেন্টের তৃতীয় আসরে অংশ নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে দুটি পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। সিলেট রয়্যালস ও রংপুর রাইডার্স তাদের বকেয়া পরিশোধ করেছে। সিলেট আবার তৃতীয় আসরের জন্যও পে-অর্ডার, ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে। তবে এর মধ্য দিয়ে পুরনো দলগুলোর ফিরে আসার সুযোগ শেষ হলো।
আগ্রহপত্র দেয়া নতুন ১১ প্রতিষ্ঠানের পে-অর্ডার ও ব্যাকং গ্যারান্টি জমা দেয়ার শেষ সময় রোববার। আগ্রহপত্র দেয়ার সময় একটা ভালোই সাড়া পেয়েছিল বিসিবি। তবে বিসিবির ঠিক নিয়মকানুন মেনে টাকা দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্য উল্লেখ্যযোগ্য সাড়া মিলেনি। শনিবার পর্যন্ত দুটি প্রতিষ্ঠান পে-অর্ডার, ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে।
এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তবে বিসিবির এই পরিচালক আশাবাদী, রোববার শেষ দিনে আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান টাকা দেবে।
শনিবার মিরপুরে বিপিএলের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জালাল ইউনুস সাংবাদিকদের বলেন, “আজকে পর্যন্ত পুরনোদের মধ্যে সিলেট রয়্যালস আগের পাওনা এবং নতুন করে পে-অর্ডার ও ব্যাংক গ্যারান্টির টাকা পুরো দিয়ে দিয়েছে। রংপুর রাইডার্স দিয়েছে আগের পাওনা; নতুন আসরের জন্য এখনো দেয়নি। নতুনদের মধ্যে ডিবিএল গ্রুপ ও এক্সিওম টেকনোলজিস নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য পে-অর্ডার ও ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিয়েছে।”
নতুন প্রতিষ্ঠানগুলো বিপিএল সম্পর্কে সঠিক গাইডলাইন না পেয়েই পিছিয়ে যাচ্ছে কি না জানতে চাইলে জালাল ইউনুস বলেন, “আমি যত দূর জানি, বিপিএল থেকে তারা একটা কনসেপ্ট পেপার চেয়েছিল। কীভাবে হবে, কেমন হবে, এসব টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন ব্যাংক গ্যারান্টির ফর্মের সাথেই এসব দিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা দেখলেই বুঝতে পারবে কী করতে হবে।”
আগ্রহপত্র জমা দেয়ার তুলনায় পে-অর্ডার, ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে সাড়া কম থাকার বিষয়ে বিসিবির এই পরিচালক বলেন, “কালকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময় আছে। এই সময় পর্যন্ত নতুনদের জন্য সুযোগ তো আছেই। শেষদিনের অপেক্ষায় থাকে অনেকে। এরপর আমরা যাচাই-বাছাই করব। আরো তিন-চারটা কোম্পানি রেডি আমার জানা মতে, শেষ দিনে দেবে জমা।”
২৭ আগস্টই পুরোনো দলগুলোর সুযোগ শেষ হয়ে গেছে জানিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, “পুরোনোদের শেষ দিন ছিল ২৭ তারিখ। এখন আর সুযোগ নেই। রংপুর আর সিলেট ছাড়া অন্যদের সুযোগ নেই। এটা থেকে সরে আসার সুযোগ আমি দেখছি না।”