আগামী মাসে ঘরোয়া জাতীয় টি২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো পারফর্ম করেই জাতীয় দলে ফিরে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তানের শীর্ষ স্পিনার সাঈদ আজমল।
যদিও জাতীয় নির্বাচক কমিটি এবং দলীয় ব্যবস্থাপনার ঘনিষ্ট এক সূত্রমতে জানা গেছে, আপাতত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের জন্য আজমল তাদের পরিকল্পনায় নেই। এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরাতে ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তাবিত সিরিজেও তাকে নিয়ে বিবেচনা করছেন না নির্বাচকরা।
বার্তা সংস্থা পিটিআই’র সাথে নির্বাচকদের আলাপকালে তারা জানিয়েছেন আরব আমিরাতে আজমলের দুর্দান্ত রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও বোলিং অ্যাকশন পরিবর্তনের পরে তাকে নিয়ে নতুন করে পিসিবির কোনো চিন্তা নেই। সব ধরনের ফর্মেটে তার যে আক্রমণাত্মক বোলিং ছিল সেটা আর নতুনভাবে দেখা যাচ্ছে না।
টি২০ চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে রেখে চলতি সপ্তাহেই ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসছেন আজমল। তবে হ্যাম্পশায়ারের হয়ে কাউন্টিতে তার পারফরমেন্স মোটেই সন্তুষ্ট করতে পারেনি পাকিস্তানি নির্বাচকদের। আইসিসির বিচারে অবৈধ বোলিং এ্যাকশনের কারণে অভিযুক্ত হওয়ার পর গত বছর তাকে সব ধরনের ফর্মেট থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকে নিজের বোলিং এ্যাকশন শোধরানোর জন্য পরিশ্রম করে আসছেন পাকিস্তানের অন্যতম সফল এই স্পিনার।
গত এপ্রিলে সংক্ষিপ্ত সময়ে জন্য বাংলাদেশ সফরে তিনি জাতীয় দলে ফিরলেও ওয়ানডে কিংবা টি২০তে ছিলেন ব্যর্থ। এরপরপরই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরে তিনি হ্যাম্পশায়ারে খেলতে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৩৭ বছর বয়সী আজমল সব ধরনের ক্রিকেটে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে শ্রীলংকায় বোলিং এ্যাকশন অভিযুক্ত হবার আগ পর্যন্ত তিনি ১৭৮টি টেস্ট, ১৮৪টি ওয়ানডে এবং ৮৫টি টি২০ উইকেট দখল করেছেন।
এদিকে আরেকটি সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে, আজমলের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার হয়তো শেষ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ইয়াসির শাহর দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পরে আজমলের জন্য জাতীয় দলে ফেরাটা বেশ কঠিনই হবে। এছাড়া সম্প্রতি অভিজ্ঞ শোয়েব মালিকের ওপর ওয়ানডে ও টি২০তে আস্থা রাখছেন নির্বাচকরা।
প্রধান নির্বাচক হারুন রশীদ বলেছেন, আজমলকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আগামী মাসে প্রধান কোচ ওয়াকার ইউনুস অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে আসলে আজমলকে ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে ডাকা হবে।