লঞ্চডুবি: বৃহস্পতিবার ২৭ লাশ উদ্ধার, মোট ১৩৯

লঞ্চডুবি: বৃহস্পতিবার ২৭ লাশ উদ্ধার, মোট ১৩৯

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে এমভি শরীয়তপুর-১ লঞ্চডুবির ঘটনায় বৃহস্পতিবার আরও ২৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত লাশের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৯।

উদ্ধার করা লাশগুলোর মধ্যে ৪ জন নারী, ৩ শিশুটি ও বাকিগুলো পুরুষের।

তবে এখনও অনেকে নদীর পাড়ে এসে অপেক্ষায় রয়েছেন হারানো স্বজনের লাশ খুঁজে পাওয়ার আশায়।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গজারিয়ায় মেঘনায় ভেসে ওঠা ২৪টি লাশ ও চাঁদপুরের ষাটনল এলাকায় ভেসে ওঠা দু’টি লাশসহ মোট ২৬টি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার উদ্ধারকৃত লাশগুলোর মধ্যে ২২ লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত হতে না পারায় বাকি লাশগুলো রাখা হয়েছে মেঘনাপাড়ের চরকিশোরগঞ্জ এলাকায়।

ইতোমধ্যে ওই লাশগুলোতে পচন ধরতে শুরু করেছে বলেও জানান ওসি।

এর আগে সোমবার রাত ২টার দিকে লঞ্চডুবির পর মঙ্গলবার সকাল থেকে ও বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত পুলিশ, দমকল বাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা যৌথভাবে ১১২টি লাশ উদ্ধার করে। এরপর লঞ্চ দুর্ঘটনার দ্বিতীয় দিন বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় উদ্ধারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটি) চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা খন্দকার।

কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গজারিয়ার মেঘনায় একের পর এক লাশ ভেসে উঠতে থাকায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ আবার উদ্ধারকাজ শুরু করে।

ওসি জানান, এখনও অনেক লাশ না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন নিখোঁজদের স্বজনরা।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পুলিশের একটি দল ছাড়া ঘটনাস্থলে প্রশাসনের আর কেউ ছিলেন না। বিষয়টি জেলা প্রশাসক আজিজুল আলমকে জাননো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুপুর সোয়া ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মাহফুজুল হক ও সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামসুল আলম ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তারা আবার উদ্ধারকাজ জোরদার করেন এবং লাশ দাফনের জন্য ত্রাণ ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত পাঁচ হাজার করে টাকা সনাক্ত হওয়া লাশের স্বজনদের দেন। তবে এ সময় বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে কেউ সেখানে না থাকায় তাদের বরাদ্দকৃত তিন হাজার করে টাকা স্বজনদের দেওয়া সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ