সমুদ্রসীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে রায়ের পর সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সৈন্য সমাবেশ করেছে বলে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের স্থানীয় সাংবাদিকদের বরাত দিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে খবরের প্রসঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তরফ থেকে বলা হয়েছে, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডের সত্যতা পাওয়া যায়নি।’
বৃহস্পতিবার বিজিবির কক্সবাজারের ১৭ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালেকুজ্জামান এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) সারাদিন বান্দরবনে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘুরে দেখে বিজিবির একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল।’
তিনি বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সৈন্য সমাবেশের খবরের কোনো সত্যতা আমরা খুঁজে পাইনি।’
বিজিবির চট্টগ্রাম সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল বশিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবির একটি দল বৃহস্পতিবার সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ করে বলে তিনি জানান।
১৭ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার বলেন, ‘আমরা যখন সেখানে পর্যবেক্ষণ করি তখন ওপারে নাসাকা বাহিনীর (মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী) নিয়মিত টহল ছাড়া কোনো ধরনের সেনা উপস্থিতি দেখিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নাসাকা কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তারা আমাদের জানান যে পুরো বিষয়টি একটি গুজব হতে পারে।’
প্রসঙ্গত, বুধবার মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা বিরোধ মামলায় আন্তর্জাতিক আদালত থেকে বাংলাদেশের পক্ষে রায় দিয়ে বলা হয়, সমুদ্রের ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এলাকা। যেখানে, মিয়ানমার আগে দাবি করেছিল বাংলাদেশ ১৩০ নটিক্যাল মাইল এলাকা পাবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, রায়ের ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না।