গতিকে কে না পছন্দ করে! সময় বাঁচাতে আমরা সকলেই গতি পছন্দ করি। চলমান জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলিও আজ নেমে পড়েছে গতির খেলায়। বিশ্বের উন্নত দেশগুলি তৈরি করে চলেছে একের পর এক গতিময় পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। যার মধ্যে ট্রেন অন্যতম। আজ আমরা এমনই বিশ্বের ৫টি সর্বোচ্চ গতিসম্পন্ন ট্রেন নিয়ে আলোচনা করবো। পাশাপাশি ট্রেনের গতির তালিকায় ভারতের স্থানও ঠিক কোথায় তাও আমরা জানব-
চিন: গতির নিরিখে সেরা ট্রেনের শিরোপাটি আপাতত চিনের দখলে। চিনের এই ট্রেনটির গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৪৮৭ কিমি। সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই ট্রেনটির সাংহাই থেকে নানজিং পর্যন্ত চলাচল করে।
জার্মানি: বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা গতিশীল ট্রেনটির শিরোপা জার্মানির দখলে। জার্মানির রেল মন্ত্রকের দাবি, তাদের টিআর-০৯ ট্রেনটি ঘণ্টায় ৫০০ কিমি যেতে সক্ষম। তবে জার্মানির এই ট্রেনটি সপ্তাহে একদিন যাতায়াত করে।
জাপান: বুলেট ট্রেন চালিয়ে সারা বিশ্বকে চমকে দিলেও গতির বিশ্বে বেশ কিছুটা পিছিয়েই পড়েছে এশিয়ার এই দেশটি। বর্তমানে জাপানের সিন-কান-সেন ট্রেনটি গতির নিরিখে বিশ্বে তৃতীয়। প্রতি ঘণ্টায় জাপানের এই ট্রেনটির গতিবেগ ৪৪৩ কিমি।
ফ্রান্স: গতির দৌড়ে খুব একটা পিছিয়ে নেয় ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। ফ্রান্সের এই ট্রেনটি মূল গতিবেগ প্রতিঘণ্টায় ৩৮০ কিমি হলেও বর্তমানে এই ট্রেনটি ৩২০ কিমি বেগে যাতায়ত করে।
দক্ষিণ কোরিয়া : বিশ্বের পঞ্চম গতিশীল ট্রেনের শিরোপাটি এশিয়ার আর এক দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার দখলে। দক্ষিণ কোরিয়ার কেটিএক্স-২ ট্রেনটির গতিবেগ প্রতিঘন্টায় ৩৫২.৪ কিমি। দক্ষিণ কোরিয়ার এই বিলাসবহুল ট্রেনটিতে একসঙ্গে ৩৬৩ জন যাত্রী যাতায়ত করতে পারেন।
অন্যদিকে ট্রেনের গতির নিরিখে ভারত বেশ খানিকটা পিছিয়ে। মোদি সরকার হাইস্পিড ট্রেন চালানোর কথা বললেও কবে নাগাদ সেই হাইস্পিড ট্রেন চালু হবে তা এখনও জানানো হয় নি। বর্তমানে ভুবনেশ্বর- নিউদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি ভারতের অন্যতম গতিশীল ট্রেন। ভারতের এই ট্রেনটির প্রতিঘণ্টায় ১৫০ কিমি বেগে চলাচল করে। তবে ট্রেনটি ১৮০ কিমি বেগে দৌড়ানোর ক্ষমতা আছে বলে রেল সূত্রের খবর।