যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, অত্যন্ত দ্রুত হারে নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ বাড়িয়ে চলেছে পাকিস্তান। গত শুক্রবার দেশটির সরকারি এক বিবৃতিতে এই প্রতিবেদনকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পাকিস্তান সবচেয়ে দ্রুত হারে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ বাড়াচ্ছে বলে একটি মার্কিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আমরা বলতে চাই, এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটি তথ্য। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ক্রমবর্ধমান ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচীকে আড়াল করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ভারত তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচীর মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ বাড়িয়ে চলেছে। এগুলোর মধ্যে কিছ কিছুু পারমাণবিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম। এভাবে উপপমহাদেশীয় অঞ্চলে সার্বিকভাবে অস্থিরতার সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে কোনো উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে না।’
ঐ বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে যে, ‘একটি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের দায়িত্ববোধ নিয়ে ওয়াকিবহাল পাকিস্তান। একইসাথে বিশ্বব্যাপী নিরস্ত্রীকরণ ও পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধে দেশটি সংকল্পবদ্ধ বলে মত প্রকাশ করা হয়েছে। ‘আমরা শান্তি ও সহনশীলতার পক্ষে। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচীর লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিচুক্তি ও সাম্যাবস্থা রক্ষা করা। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার কোনো ইচ্ছে আমাদের নেই।’
প্রসঙ্গত, ২ টি মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে সম্প্রতি বলা হয়েছে, আগামী এক দশকে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পর সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্রের মজুদ হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের। এতে বলা হয়, বর্তমান হার অনুযায়ী পরবর্তী এক দশকে দেশটি ৩৫০টি পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক হতে পারে। এর ফলে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদের দিক থেকে বিশ্বের ৩য় বৃহত্তম দেশ হিসেবে আবির্ভুত হবে পাকিস্তান।