টেলিভিশনে লাইভ সাক্ষাতকার চলার সময় দুজন সাংবাদিককে গুলি করে হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তি পুলিশের ধাওয়া খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের মনেটা শহরে গতকাল বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে।
আঁততায়ী নিজেও ঐ চ্যানেলের একজন সাবেক রিপোর্টার ভেস্টার লী ফ্লানাগান। হত্যাকাণ্ডের পরপরই তিনি এবিসি টেলিভিশনে পাঠানো একটি ফ্যাক্স বার্তায় নিজেকে ‘বারুদের স্তুপ’ বলে বর্ণনা করেন। চার্চে হামলার ঘটনার পর যেন তিনি ফেটে পড়তে চাইছিলেন বলে তার দাবী।
ওই বার্তায় তিনি দাবি করেন, নিজে সমকামী ও কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ায় আমেরিকায় তিনি বৈষম্য আর বিদ্রুপের শিকার হয়েছেন। তাকে ধরার জন্য পুলিশ অভিযান চালালে তিনি গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ তাকে গাড়ি ধাওয়া করলে তিনি নিজের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নিজেকে গুলি করেন।
এই ঘটনায় নিহতরা হলেন টিভি রিপোর্টার অ্যালিসন পার্কার ও ক্যামেরাম্যান অ্যাডাম ওয়ার্ড।
এ ঘটনার পর হোয়াইট হাউস বলেছে, এই হামলার ঘটনা আবার মনে করিয়ে দিয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি কতটা জরুরী। তারা যে টেলিভিশন চ্যানেলে কাজ করতেন তার নাম ডব্লিউডিবিজে।
চ্যানেলটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রিপোর্টার অ্যালিসন পার্কার এবং ক্যামেরাম্যান অ্যাডাম ওয়ার্ড ঘটনাস্থলেই নিহত হন। টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে ওই নারী সাংবাদিক তার অতিথির সাক্ষাতকার নেয়ার আগে হাসিঠাট্টা করছিলেন। এর পরপরই কয়েক দফা গুলির শব্দ। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার শোনা যায় এবং সাংবাদিক লুটিয়ে পড়েন। ক্যামেরাটিও মাটিতে পড়ে যায়। তবে তখনও ক্যামেরা চলছিল।
এতে দেখা যায়, কালো পোশাক পরা এক ব্যক্তি হাতে বন্দুক নিয়ে দ্রুতগতিতে স্থান ত্যাগ করে চলে যান। হামলার কারণ এখনা জানা যায়নি। সূত্র : বিবিস বাংলা