যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধা, দুর্নীতিবাজদের রক্ষা ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ১৪ দলের জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এলাকার এই জনসভা বুধবার বেলা পৌনে ৩টায় কোরআন ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এর আগে বেলা পৌনে ২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সভামঞ্চ থেকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে শোনায়।
নেতা-কর্মী-সমর্থকদের হর্ষধ্বনির মধ্যে শেখ হাসিনা সভামঞ্চে পৌঁছান বিকাল ৪টায়। মঞ্চে তিনি যেখানে বসেন, তা বুলেটপ্রুফ কাচ দিয়ে ঘেরা। তিনি বক্তব্য শুরু করেছেন বিকাল ৫টা ৭ মিনিটে।
বিরোধী দলের আন্দোলন যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য বলে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, “এই মাটিতে রাজাকারদের ঠাই নেই, ওদের বাঁচাতে পারবেন না।”
“হানাদার বাহিনীর দোসরদের বাঁচাতে, বোমাবাজি করতে মহাসমাবেশ করেছে বিরোধী দল,” বলেন তিনি।
সভামঞ্চে রয়েছেন আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
সমাবেশ মঞ্চটি নির্মিত হয়েছে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে দক্ষিণমুখী করে। মঞ্চের পশ্চিমে ও দক্ষিণে ২০০ গজ এলাকা বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থেই এটা করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই জনসভায় শেখ হাসিনার আগে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা রাশেদ খান মেনন, ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, গণআজাদী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ, গণতন্ত্রী পার্টির নেতা শাহদাত হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশ পরিচালনা করছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নূহ-উল আলম লেনিন।
জনসভা সামনে রেখে নেতা-কর্মী-সমর্থকরা সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন। পশ্চিমে কার্জন হল পর্যন্ত জনসমাগম ছড়িয়েছে। দক্ষিণে নবাবপুর রোডের পুরোটা জুড়েই অবস্থান নিয়েছেন নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।
বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইটে জনসভা মঞ্চ করা হলেও বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পল্টন মোড় থেকে জিপিও, নূর হোসেন স্কোয়ার হয়ে কাপ্তানবাজার পর্যন্ত রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তার মাঝে মাঝেই বসানো হয়েছে কাঁটাতারের ব্যারিকেড। এর প্রভাবে সভাস্থলের আশপাশের এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক যানজট।
শাহবাগ থেকে বায়তুল মোকাররম পর্যন্ত সড়কে যানজটের কারণে অনেক গাড়ি মৎস্য ভবন মোড় হয়ে কাকরাইল দিয়ে ঘুরে মতিঝিলের দিকে যাতায়াত করছে।
বিরোধী দলের বড় জনসভার একদিন পর ঢাকার সমাবেশে বিপুল কর্মী-সমর্থক জড়ো করে নিজেদের শক্তি তুলে ধরতে চাইছে আওয়ামী লীগ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবিতে ১২ মার্চ নয়া পল্টনে খালেদা জিয়ার সমাবেশে ২ লাখ জনসমাগম হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, পদে পদে বাধা উপেক্ষা করেই তাদের ওই সমাবেশ করতে হয়েছে।