শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌ-রুট সচল করতে আজ বুধবার থেকে পলি অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। এ রুটে ৩ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণ করা হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নদীর তলদেশ থেকে এ পলিমাটি অপসারণ করা হবে বলে জানান হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিনভর যৌথজরিপ শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। টানা ছয়দিন ধরে নাব্যতা সংকটে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি চলাচল কার্যত বন্ধ রয়েছে। এতে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। এদিকে দেশের প্রধান এই ফেরিঘাটের দুইপাশে বহু পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আজ বুধবার দু’প্রান্তে সাড়ে ৪০০ যান আটকা ছিল। এরমধ্যেই পণ্যবাহী ট্রাক প্রায় ৪০০।
বিআইডব্লিউটিসি’র সহকারী ব্যবস্থাপক শেখর চন্দ্র রায় জানান, ফেরি ‘কুসুমকলি’ ও ‘ক্যামেলিয়া’ নামে দুটি কে-টাইপ ফেরি জোয়ারের সময় কোনরকমে ট্রিপ দিচ্ছে। মঙ্গলবার সারাদিনে এই ফেরি দু’টি মাত্র তিনটি ট্রিপ দিয়েছে। যেখানে আগে দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ রুটে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০টি ট্রিপ হতো। বাকি ১৬টি ফেরিই অলস বসে আছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. সুলতান উদ্দিন আহমেদ খান জানান, পুরো নৌ রুটে ২২ লাখ ঘনফুট পলিমাটি অপসারণ করতে হবে। তবে যেখানে এখন মূল সমস্যা- সেই লৌহজং টার্নিংয়ে প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ ঘনফুট পলিমাটি আপাততঃ অপসারণ করা হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এতে ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই নাব্যতা সঙ্কটের সমাধান হবে।
প্রসঙ্গত পদ্মা সেতুর নদী শাসনের চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কোম্পানির প্রতিনিধি ছাড়াও চীনা বিশেষজ্ঞ সার্ভেয়ার এন্টোনি, বিআইডব্লিউএির তত্ত্বাধাবয়ক প্রকৌশলী আইয়ুব আলী, বিআইডব্লিউএির উপপরিচালক (হাইড্রোগ্রাফি) আব্দুর রউফ, সহকারী পরিচালক মুস্তাফিক, সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হেসেন ও সিজিইআইএস’র বিশেষঞ্জ কামাল হোসেন এবং পদ্মা সেতুর কর্মকর্তাসহ ১২ জনের একটি দল এই জরিপ কাজ সম্পন্ন করেন।