বকনা বাছুর কিনতে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ঋণ দেবে ব্যাংক। তবে অনধিক তিন মাসের মধ্যে প্রজননক্ষম হতে পারে এমন বাছুর কিনতে হবে। আর অগ্রাধিকার পাবে দেশি বকনা বাছুর।
আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে এ কথা বলা হয়েছে। মহাব্যবস্থাপক প্রভাষ চন্দ্র মল্লিকের স্বাক্ষর করা এই সার্কুলারের কথা জানানো হয়েছে ওয়েবসাইটে দেওয়া ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে।
সার্কুলার অনুযায়ী, বাংলাদেশকে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য পাঁচ শতাংশ হার সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি পরিচালনা নীতিমালার আওতায় এ ঋণ দেওয়া হবে। ঋণ গ্রহীতা বাছাইয়ে নারী ও প্রান্তিক খামারিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
প্রতিটি বকনা বাছুর কেনার জন্য ৪০ হাজার টাকা এবং রক্ষণাবেক্ষণ/লালন-পালনের জন্য ১০ হাজার টাকা অর্থাৎ প্রতিটি বকনা বাছুরের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেওয়া যাবে। এ ছাড়া সর্বোচ্চ চারটি বাছুর কেনার জন্য অনধিক দুই লাখ টাকা এ স্কিমের অধীনে ঋণ নেওয়া যাবে। ব্যাংকের মূল টাকা পরিশোধের সময়সীমা হবে অনধিক ৫৪ মাস। আর গ্রেস পিরিয়ড থাকবে অনধিক ১৫ মাস।
সার্কুলার অনুযায়ী, প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি গাভিকে প্রকল্পের মেয়াদকাল পাঁচ বছরের মধ্যে প্রজননকালে প্রতিবছর কৃত্রিম প্রজনন নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এ খাতে ঋণ বিতরণের সার্বিক অবস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপজেলা কার্যালয়কে মাসিক প্রতিবেদন দেবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর অধিদপ্তরের উপজেলা কার্যালয়ের মাঠকর্মীদের মাধ্যমে নমুনা ভিত্তিতে বিতরণ করা ঋণের ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে কি না তা দেখবে।