তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ও ৮৬ ধারা বাতিল বা প্রত্যাহার চেয়ে চার সচিবকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশের জবাব না দিলে তিনি এ দুটি ধারা বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করবেন।
আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বুধবার বলেন, “আজ সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সচিব ও তথ্য সচিবকে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।”
ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, “তথ্য প্রযুক্তি আইনের এ দুটি ধারা বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে নাগরিকের চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা সংবিধানের এ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করে।”
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (১) ও (২) ধারায় বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক ফর্মে মিথ্যা, অশ্লীল অথবা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করলে তিনি অনধিক ১৪ বছর ও কমপক্ষে ৭ বছর এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৮৬ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইন বা বিধির অধীনে সরল বিশ্বাসে করা কোনো কাজের ফলে কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে এ জন্য সরকার, নিয়ন্ত্রক, উপনিয়ন্ত্রক, সহকারী নিয়ন্ত্রক বা তাঁদের পক্ষে কর্মরত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যক্রম নেয়া যাবে না।