ভারতের একটি মানবাধিকার সংগঠন বলছে সেদেশে গত দশ বছরে এক লক্ষ তিরিশ হাজারেরও বেশী মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
হয় রাষ্ট্র নিজেই সংবিধান স্বীকৃত এই অধিকার লঙ্ঘনের করেছে অথবা রাষ্ট্রযন্ত্র নাগরিকদের জীবনের অধিকারকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
জীবনের অধিকার সবথেকে বেশী লঙ্ঘিত হয়েছে মহিলাদের ক্ষেত্রে আর তারপরেই রয়েছে হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা। সব থেকে কম মানুষ মারা গেছেন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়।
এশিয়ান সেন্টার ফর হিউমান রাইটস আজ প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলেছে যে গড়ে প্রতি মাসে এক হাজার ছিয়াশি জন ভারতীয় নাগরিক জীবনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।
২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত প্রাপ্ত নথির ভিত্তিতে ওই সংগঠনটি বলছে সবথেকে বেশী অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে নারীদের ক্ষেত্রে। প্রায় ৮১ হাজার নারী এই সময়ের মধ্যে বেঁচে থাকার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন – যার মধ্যে পণের জন্য মৃত্যুও যেমন রয়েছে, তেমনই স্থান পেয়েছে ডাইনি সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাগুলোও।
মহিলাদের মৃত্যুর পরেই সংখ্যার বিচারে স্থান পেয়েছে হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনাগুলি। প্রায় চোদ্দোশো মানুষ পুলিশ হেফাজতে মারা গেছেন আর ১৫ হাজারেরও বেশী মারা গেছেন বিচারবিভাগীয় হেপাজত অর্থাৎ জেলের মধ্যে।
তবে সংগঠনটির প্রধান মি. সুহাস চাকমার মতে পুলিশ বা জেল হেপাজাতে মৃত্যুর থেকে সংখ্যায় কিছুটা কম হলেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেইসব ঘটনা, যেখানে সহ নাগরিকদের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে রাষ্ট্রেরই সশস্ত্র বাহিনীগুলি। এনকাউন্টারের নামে মেরে ফেলা হয়েছে প্রায় ১১ হাজার মানুষকে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা।