ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে বিমান হামলায় তুরস্কের যুদ্ধবিমানের অংশগ্রহণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং তুরস্ক একটি চুক্তি চূড়ান্ত করেছে।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র, পিটার কুক বলেছেন, এই চুক্তিটি ইসলামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ।
বিমান হামলায় তুরস্কের শক্তিকে কাজে লাগানোর বিষয়ে এই দুই দেশ বেশ কিছুদিন যাবতই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল এবং তুরস্কের অংশগ্রহণের এই ঘোষণাটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বিজয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
গত মাস থেকেই মার্কিন বিমানগুলো তুরস্কের ঘাঁটি ব্যবহার করা শুরু করেছে এবং তুরস্কও নিজ থেকেই জঙ্গিগোষ্ঠির বিরুদ্ধে বেশ কিছু বিমান হামলা চালিয়েছে।
তবে এখন তুরস্কের বিমানবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে যৌথবাহিনীর বিমান হামলায় সংযুক্ত হচ্ছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র পিটার কুক বলেছেন, সব বিষয়ে সমঝোতা হবার পর আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান শুরু করতে আরো কিছুদিন সময়ের প্রয়োজন হবে।
তিনি বলেন, নতুন এই চুক্তিটি শুধুমাত্র বিমান হামলার ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে।
পিটার কুক আরও বলেন, ‘যৌথবাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের সাথে তুরস্কের বিমানও এখন আকাশে উড়বে এবং এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির জন্যই আমরা অপেক্ষা করছিলাম। খুঁটিনাটি বিষয়ে আমরা সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছিলাম এবং আমরা সেটি করতে সফল হয়েছি’।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জানান, আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অন্যন্য দিক নিয়েও দুই দেশ তাদের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে তুরস্ক এবং সিরিয়ার মধ্যকার সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা এখনো চলছে।
এর আগে আইএসের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে অনাগ্রহ দেখিয়েছিল তুরস্ক।
তবে দেশটিতে বেশ কয়েকটি হামলার সাথে আইএস জড়িত আছে এমন অভিযোগ ওঠার পর তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা।