বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলটা গত এক বছর ধরে দারুণ ফর্মে রয়েছে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে সিরিজ জিতেছিল দলটি। পরে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা যুবদলকেও হারিয়ে সিরিজ জিতে টাইগার জুনিয়ররা। পাল্টা সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়ে প্রোটিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতে দেশে ফিরেছিল বাংলাদেশের যুবারা।
এমন ছন্দ নিয়েই যুব বিশ্বকাপটা খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দলটা। বিশ্বকাপের আগে এই শিবিরে যুক্ত হলেন স্টুয়ার্ট ল। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক এই কোচ মঙ্গলবার বিসিবিতে জানিয়েছেন, তিনি এই দলটার মাঝে খুব বেশি পরিবর্তন করতে চান না। দলটাকে না বদলে বরং উচ্চমান যোগ করতে চান ল।
বিশ্বকাপের আগে টাইগার জুনিয়রদের নিয়ে কাজ করা সম্পর্কে ল বলেন, “খুব বেশি দিকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। দলটা যেভাবে খেলে চলেছে, এটা ধরে রাখতে পারলেই সাফল্য আসবে। দলীয় খেলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের ভূমিকাটা জানা এবং সেটা মাঠে পালন করা। এই দরুণ দলটি সম্ভবত সেটা অলরেডি ভালো ভাবে জানে। আমি এখানে কিছু বদলাতে আসিনি। এমন নয় যে এসেই বলব, এভাবে চলবে না, ওভাবে করতে হবে। এখন যে সিস্টেমটা আছে, আমি সেটার সাহায্যকারী হতে চাই। গত বছর দুয়েক ধরে যে লোকগুলো ক্লান্তিহীন ভাবে এই সিস্টেমে কাজ করে যাচ্ছে, তারা সব জানে। পরিকল্পনাও দাঁড় করিয়েছে। আমি সেটায় কিছু মান যোগ করতে চাই, পুরো বদলে দিতে চাই না।”
টাইগারদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা যুবাদের এই মিশনে কাজে লাগবে বলে জানান ল। দেশের মাটিতে খেলা হবে বলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের উপর প্রত্যাশার চাপ থাকবে। অস্ট্রেলিয়ান এই কোচ ভালোভাবেই সে সম্পর্কে অবগত আছেন। তিনি বলেন, “দেশের মাটিতে খেলা সবসময়ই চাপ। কিন্তু এই ছেলেরা যখন ক্রিকেটেই তাদের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে, চাপের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময়ও এখনই। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপের তুলনায় এই চাপ তো কিছুই না। বাংলাদেশের মানুষ দলকে ভালো করতে দেখতে চায়, এটা দারুণ ব্যাপার। জাতীয় দলেরও কৃতিত্ব আছে এতে্ সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে সবার প্রত্যাশা বেড়েছে। এখন জুনিয়রদের সময়। ওরা যদি জয়ের চিন্ত না করে বেসিকগুলো ঠিক রাখায় মন দেয়, ছোট ছোট ব্যাপারগুলি ঠিক করে, তাহলে আসল উদ্দেশ্যও পূরণ হবে।”