বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলটাকে নিয়ে সবসময় আশার বীজ বুনা হয়। কিন্তু কখনোই বড় সাফল্য পায়নি টাইগার জুনিয়ররা। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চারবার প্লেট কাপ চ্যাম্পিয়ন ও ২০০৬ সালে পঞ্চম স্থান অধিকার করাই বাংলাদেশের বড় অর্জন। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠেই বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ যুব দল।এবার বিশ্বকাপ ট্রফিটা জয়েরও স্বপ্ন দেখছে স্বাগতিকরা।
বিশ্বকাপের আগে টাইগার জুনিয়রদের ট্রফি জয়ের জন্য প্রস্তুত করতে বড় পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিসিবি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক কোচ স্টুয়ার্ট ল’কে বিশ্বকাপে যুবদলের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। মঙ্গলবার বিসিবিতে এসে ল জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন করার জাদুকরী ফর্মূলা নেই। তবে হারতেও পছন্দ করেন না তিনি। আর বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারলেই খুশি হবেন ল।
তিনি বলেন, “যে কোনো দলকে চ্যাম্পিয়ন করাই কঠিন চ্যালেঞ্জ। আর এটা একজনের ওপর নির্ভরও করে না। এমন নয় যে একজন এসে কিছু করল আর বলে দিল আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাব। ক্রিকেটাররা যদি পরিশ্রম করে যেতে থাকে, কোচরা তাদের পরিচর্যা করতে থাকে, খুব বেশি বদলানোর চেষ্টা না করে, তাহলেই হবে। ক্রিকেট খুবই বেসিক একটা খেলা। একটা দলকে চ্যাম্পিয়ন করার কোনো জাদুকরী ফর্মূলা নেই। সত্যিকারের কঠোর পরিশ্রম আর নির্দিষ্ট দিনে ভালো পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে। আমি এই দলটাতে সেটাই আনার চেষ্টা করব। জয়ের নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে। চেষ্টা করা যায় নির্দিষ্ট দিনে মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দেওয়া। সেটা করতে পারলে বিফল দিনের চেয়ে সফল দিনই বেশি আসবে।”
কোচিং ক্যারিয়ারে ল জাতীয় দল, যুব দলের সঙ্গে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলের কোচ ছিলেন সাবেক এই টাইগার কোচ। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “এমন নয় বয়সভিত্তিকই আমি উপভোগ করি। জাতীয় দলও উপভোগ করি। অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের জাতীয় দলে কাজ করেছি। ১৬ থেকে ১৯ বছর বয়স একটা ছেলেকে তৈরি করা ভিন্ন একটা চ্যালেঞ্জ। তরুণরা যখন কথা শোনে, উপদেশ মনে সেভাবেই অনুশীলন করে নিজেকে তৈরি করে এবং মাঠে দেখায়, তখন সেটা আমাকে দারুণ নাড়া দেয়। সব দলে কাজ করতেই আমার ভালো লাগে। এখন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল আমার দল। আর আমি হারতে পছ্ত করি না। হারতে ঘৃণা করি। কঠোর পরিশ্রম করে বিশ্বকাপে শিরোপা জিততে পারলে তাই আমি খুশি থাকব।”