ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ২২ জনকে আটক করেছে আজারবাইজান কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের ধারণা, আটকদের সঙ্গে ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের সম্পর্ক রয়েছে। তবে আটকরা সবাই আজারবাইজানের নাগরিক। তারা ইরানের নির্দেশনায় রাজধানী বাকুতে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হামলার ষড়যন্ত্র করছিল বলে দাবি করা হচ্ছে।
বুধবার আজারবাইজানের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই আটকের খবর জানিয়েছে। তবে ঠিক কবে তাদের আটক করা হয়েছে তা নিশ্চিত করে জানানো হয়নি।
গ্রেফতারের সময় ওই ২২ জনের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি এবং গুপ্তচরবৃত্তির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে আজারবাইজান কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, আজারবাইজানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে গত মাসে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে ইসরাইলি দূতাবাস ও একটি ইহুদি প্রতিষ্ঠানে হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে।
ওই একই সময় থাইল্যান্ড, ভারত ও জর্জিয়ায় ইসরায়েলি দূতাবাসে হামলা চেষ্টার জন্য ইরানকেই অভিযুক্ত করে ইসরায়েল।
কর্তৃপক্ষের ধারণা, আটক ২২ জন আজারবাইজানে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং অন্য পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাসে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর জন্য ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের নিদের্শনা পেয়েছিল। এরা ১৯৯৯ সালে ইরানের সামরিক শিবিরে অস্ত্রচালনা এবং গুপ্তচরবৃত্তির প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলেও তাদের ধারণা।
উল্লেখ্য, গত মাসে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে এক ইসরায়েলি কূটনীতিকের গাড়িতে বোমা হামলায় ৩ জন আহত হয়। এ ঘটনার পেছনে ইরান জড়িত বলে অভিযোগ করে আসছে ইসরায়েল। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সম্প্রতি ইরানি পত্রিকার এক স্থানীয় প্রতিনিধিকে আটক করেছে ভারত।
এছাড়া ইরানের পারমাণু কর্মসূচি নিয়ে সম্প্রতি উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে দেশটির এবং ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গুপ্তচরেরা দক্ষিণ ককেশীয় অঞ্চলের জর্জিয়া, আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ায় সক্রিয় রয়েছে বলেও ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।