আরো ১২৫ বাংলাদেশী অভিবাসীকে ফেরত দিয়েছে মিয়ানমার। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে এদের ফেরত আনা হয়। এই নিয়ে পঞ্চম দফায় মোট ৬২৬ জন বাংলাদেশীকে ফেরত দিল মিয়ারনমার। বিজিবি সূত্র জানায়, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন এন্ড ন্যাশনাল রেজিষ্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের মধ্যে ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজারস্থ বিজিবি ১৭ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল রবিউল ইসলাম। অপরদিকে মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সেদেশের ইমিগ্রেশন এন্ড ন্যাশনাল রেজিষ্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডাইরেক্টর স নেইন।
বিজিবি প্রতিনিধি দলের নেতা লে: কর্নেল রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন- বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। পরে সা¤প্রতিক কালে সাগরপথে পাচারের শিকার হয়ে যে সকল বাংলাদেশী নাগরিক মিয়ানমারে আটক অবস্থায় রয়েছেন তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা হয়। এরপর ১২৫ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত দেওয়া হয়। বিজিবি এসব অভিবাসীদের গ্রহণ করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের কাছে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য হস্তান্তর করেছেন।
পতাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক উপ-অধিনায়ক মেজর ইমরান উল্লাহ সরকার, বিজিবির কক্সবাজার সেক্টরের অতিরিক্ত পরিচালক (অপারেশন) মেজর মোঃ আমিনুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রতিনিধিরা।
এর আগে ৪ দফায় ৫০১ জন বাংলাদেশীকে ফেরত আনা হয়েছে। গত ২১ মে ২০৮ জন ও ২৯ মে ৭২৭ জন অভিবাসি প্রত্যাশীকে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে উদ্ধার করেছিল সে দেশের নৌ বাহিনী। এদের মধ্যে বেশির ভাগই বাংলাদেশী বলে দাবি করে মিয়ানমার। তাদের একটি তালিকা হস্তান্তর করে মিয়য়ানমার। ওই তালিকা যাচাই বাছাই করে শনাক্ত হওয়া বাংলাদেশীদের পর্যাক্রমে ফেরত আনা হচ্ছে।