সিরিয়ায় অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করবে না রাশিয়া

সিরিয়ায় অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করবে না রাশিয়া

সিরিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আনাতোলি আন্তোনভ বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী তারা সিরিয়াতে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখবেন। সেই সঙ্গে সিরীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দানও চলবে।

সিরিয়াতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরোধীদের পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে- মানবাধিকার গ্রুপ সম্প্রতি এমন সচিত্র খবর প্রকাশ করেছে। দেশটিতে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে তারা দাবি করছে।

তাদের হিসাব অনুযায়ী, সিরিয়াতে গত বছরের মার্চ থেকে শুরু হওয়া বাশার বিরোধী আন্দোলনে এ পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার মানুষ মারা গেছে।

এদিকে তুর্কি সীমান্তের কাছে বিদ্রোহী সেনাদের শক্ত ঘাঁটি ইদলিবে সরকারি বাহিনী ট্যাঙ্ক বহর নিয়ে হামলা করেছে বলে জানা গেছে। হামলায় অনেক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, হাজার হাজার মানুষ জানের ভয়ে তুরস্ক ও লেবানন সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছে।

সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দমন-পীড়নের প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও রাশিয়া দেশটিতে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে রাজি নয়। গত মঙ্গলবার আন্তোনভ বলেছেন, ‘সিরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক সহযোগিতার কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। আর এই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার মতো কোনো কারণ আমরা এই মূহূর্তে দেখছি না। রুশ-সিরিয়া সামরিক সহযোগিতা সম্পূর্ণ বৈধ।’

সেই সঙ্গে সিরিয়াতে এখনো রাশিয়ার সামরিক প্রশিক্ষকরা অবস্থান করছেন বলে স্বীকার করেছেন আন্তোনভ।

তিনি বলেছেন, এটা চুক্তির অবশ্য পালনীয় অংশ। আমরা যখন অস্ত্র সরবরাহ করব তখন বাধ্যতামূলকভাবেই আমাদের প্রশিক্ষকও পাঠাতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পদত্যাগের দাবি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনা প্রস্তাব রাশিয়া ও চীনের ভেটোর কারণে নাকচ হয়ে গেছে।

এই দু’ দেশ মনে করে, আলোচনার মাধ্যমেই সিরিয়ার রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান সম্ভব।

একারণে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কিছু আরব দেশ সিরিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করলেও রাশিয়া তাদের সঙ্গে যোগ দেয়নি। এমনকি রাশিয়া বলছে, সিরিয়ায় অস্ত্র বিক্রি আন্তর্জাতিক আইন মেনেই করা হচ্ছে।

এদিকে বুধবার প্রকাশিত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে বিরোধীদের ধরে প্রায় ৩১টি ভিন্ন ভিন্ন কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক