দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আতিকউল্লাহ খান মাসুদের বিরুদ্ধে জনকণ্ঠ ভবনের নকশা জালিয়াতি মামলায় আপিল করা যাবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। অর্থাৎ দুর্নীতির এ মামলায় হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে দুদক।
এর আগে দুদকের এ মামলায় হাইকোর্ট আতিকউল্লাহ খানের খালাসের রায় ঘোষণা করেন। সে রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।
বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সোমবার আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মিরপুর রোডে গ্লোব সেন্টার প্রকল্পের নকশা জালিয়াতির একটি মামলায় নিম্ন আদালত আতিকউল্লাহ খান মাসুদকে সাত বছর সাজা ও অর্থদণ্ড দেন। পরে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করলে ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর হাইকোর্ট আতিকউল্লাহ খান মাসুদের সাজা বাতিল করেন।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের পক্ষ থেকে আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে সোমবার শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট আবেদন গ্রহণ করে আপিলের অনুমতি দেন।
আতিকউল্লাহ খানের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে নকশা জালিয়াতির মোট পাঁচটি মামলা দায়ের করে দুদক। এসব মামলায় তার ৩৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১৬ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া হিসাববহির্ভূত অর্জনের অপর একটি মামলায় নিম্ন আদালত ২০০৮ সালে আতিকউল্লাহ খান মাসুদকে ১৩ বছর কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
তবে এসব মামলায় ২০১০ সালে হাইকোর্ট তাকে খালাস দিয়ে মামলা বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে নকশা জালিয়াতির একটি মামলা লিভ টু আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে দুদক।